নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আসন্ন বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় আওয়ামীলীগের সভাপতি পরিচয় দেয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক বাকগ্বিতন্ডা, চেছাঁমেছি, তুমুল হ্‌ট্টগোল ও মারমুখী আচরনের কারনে প্রস্তুতি সভা পন্ড হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে থানার ওসি শেখ সালাউদ্দিন, তেতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মুরাদ এবং কাজল  আহত হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক প্রস্তুতি সভার আহবান করে। মোহনগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভার প্রারম্ভে পরিচয় পর্ব শুরু হলে মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান কাঁচা মিয়া মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কদ্দুস আজাদের ইন্তেকালের কারনে নিজেকে মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে পরিচয় দিলে সভায় উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদ ইকবাল প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে আওয়ামীলীগের বিবাদমান দু,গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক হৈ-চৈ, বাকগ্বিতন্ডা, হট্টগোল ও সংঘর্ষের আশংকায় ইউএনও তরিগরি করে সভা স্থগিত করে তার অফিস কক্ষে চলে যান। ঘটনার কিছুক্ষন পর উপজেলা পরিষদ অফিসের সামনে অপেক্ষমান মুজিবুর রহমান কাচা মিয়ার লোক বলে পরিচিত তেতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাস মুরাদের উপর প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন হামলা চালালে মুরাদ ও কাজল আহত হন। এই সময় থানার ওসি শেখ সালাউদ্দিন পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নিজেও আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোহনগঞ্জ আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দু‘ গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/বিজয় চন্দ্র দাস/নেত্রকোনা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here