ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::

মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার (১ মে) সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোন শুল্ক ছিল না, তাই আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার এবং নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধির দাবি জানান শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, সহকারী সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমিকেরা অংশগ্রহণ করেছে। শ্রমিকেরাই এদেশের প্রাণশক্তি, শ্রমিকদের ঘামে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক ভিত। কিন্তু দেখা যায়, সকল সংকটে শ্রমিকেরাই থাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত, যা অত্যন্ত দু:খজনক। অসহায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বেগবাদ করতে মহান মে দিবসের চেতনায় সকলকে উদ্বুদ্ধ থাকতে হবে।’

বিড়ি শ্রমিকরা আরো বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। দেশের ১৮ লক্ষ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সুতরাং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি দাবি করছি। একইসাথে শ্রমজীবি মানুষের কর্ম রক্ষার্থে বঙ্গবন্ধুর সময়ের মত জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের উপর থেকে শুল্ক এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার আহবান জানাচ্ছি।

দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের মালিকদের অবদান অপরিসীম। অথচ বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে দেশের টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ দখল করে আছে নিম্নস্তরের সিগারেট। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের ১০ শলাকা প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকা করার অনুরোধ করছি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here