পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ’৮২ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর ভেতর মুক্তিযোদ্ধাদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বলেছেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়েজিত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
পঁচাত্তরে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের শক্তি খর্ব করার ষড়যন্ত্র করেছিল উল্লেখ করে কামরুল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যাকারী জিয়ার স্ত্রী ও বেরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে তার স্বামীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে মাঠে নেমেচেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে জামায়াতের আমিরের মতো কথা বলছেন মন্তব্য করে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। উভয় দলই এখন এক ও অভিন্ন সত্ত্বায় পরিনত হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা কার মহাজোট সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ লক্ষ্যে সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে। পলাতক বাকি আসামীদেরও ধরে এনে বিচার কার্যকর করা হবে।
কামরুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার কাজ শুরু করেছে সরকার। এদের বিচার নির্বিগ্নে করতে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকেই সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্যমে এই বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জোটের অন্যতম নেতা সৈয়দ হাসান ইমাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা