গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে মহিলা ও পুলিশসহ শতাধিক আহত, বাড়ী ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন ও মোচনা ইউনিয়নের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পুলিশ টিআর সেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদেরকে মুকসুদপুর, রাজৈর স্বাস্থ্য কমপে­·, ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। মুকসুপদুর  স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি আহতরা হলেন সৈকত শেখ (৪০), এনামুল হক (২৬), আজাদ শেখ (২২), সোহাগ মুন্সী (২১), কালম ব্যাপারী (৩৫), আকুব্বর শেখ (৩৫), ফিরোজ শেখ (৩৬), মিম্মা বেগম (১৫) ও ওহিদ মিয়া (১৭)। গুর“তর আহত ৪ জনকে আসংকা জনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন মুকসুদপুর থানা ওসি তদন্ত মনিরুল ইসলাম (৪২), এসআই বাসার (৪৮), আশরাফুল (৪২) ও ইমরাত (৪৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী  ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ওইদিন সকাল দশটার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রাম বাজরে মোচনা ইউনিয়নের পাইকদিয়া গ্রামের শাহ আলম ফকির এক সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে ধোনিয়া পাতা ক্রয় করা নিয়ে দরকষাকষি সময় তাকে মারপিট করে। এসময় মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মাতুব্বর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার করার চেষ্টা করলে তাকেও শাহ আলম লাঞ্ছিত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বনগ্রাম বাজরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে দুই ইউনিয়নের লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদা, র্তীর ধনুক, গুলতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসন্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মোচনা ও মহারাজপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী স্থান চৌগাছা, মিলিকান্দা, ঘুনষি ও আইকদিয়া নামক স্থানে কয়েক হাজার লোক ৫ ঘন্টা ব্যাপী  সংঘর্ষে অংশ নেয়। মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে এসে ১৫ রাউন্ড সর্টগান, ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি ও ১০ রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করে দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিচ্ছৃন্নভাবে দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তারিকুল ইসলাম/মুকসুদপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here