ডেস্ক রিপোর্ট::  মাদারীপুরের শিবচরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের সময় পানিতে ঢিল ছুঁড়ে মারাকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর অভিভাবকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক শিশুর বাবা ও মাসহ ৪ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাশকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ওই এলাকার আনোয়ার মোল্লা (৬৭) তার ছেলে ছেলে কালু মোল্লা (৪০),আরেক ছেলে গাজী মোল্লা (৩২) কালু মোল্লার স্ত্রী রাবেয়া (৩২)।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একটি পুকুরে হোসেন ঢালীর ছেলে নাইম ঢালী (১২) বঁড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছিল। এসময় কালু মোল্লার ছেলে জোনায়েদ (৮) ওই বঁড়শির পাশে পানিতে একটি ইটের টুকরা ছুঁড়ে মারেন। ফলে নাইম ও জোনায়েদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে নাইম এ ঘটনা তার বড় ভাই ইয়াছিন ঢালীকে জানালে সে তার ছোট ভাই ফারুক ঢালী ও তাদের চাচা সিদ্দিক ঢালীসহ কয়েকজন জোনায়েদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আনোয়ার মোল্লা তার ছেলে কালু মোল্লা আরেক ছেলে গাজী মোল্লা কালু ও তার স্ত্রী রাবেয়া আহত হন। তাদের মধ্যে কালু মোল্লা ও গাজী মোল্লার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে কালু মোল্লার স্ত্রী রাবেয়া বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রাবেয়া বলেন, তারা আমার স্বামী, দেবরকে কুপিয়েছে, আমাকে মেরেছে। আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে গেছে। আহতদের উদ্ধার করে ভ্যানে শিবচর আনার পথে সেখানেও তারা হামলা করে। আমি এই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিচার চাই।

আহত কালু মোল্লা বলেন, আমি ঘুমানো ছিলাম। ঘরের বাইরে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি ওরা আমার ভাইকে পেটাচ্ছেন। পরে আমি কি হইছে জানতে চাইলে তারা আমার মাথায় একটি কোপ দেয়। আমাকে আমার ভাই ধরতে গেলে তাকেও কোপায়। তারা আমার স্ত্রীকে মেরেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হোসেন ঢালী মোবাইল ফোনে বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে ছোট বাচ্চারা মারামারি করেছে। পরে আমার ছেলে নাইমকে গাজী মোল্লা পানিতে চুবায়। তাদের ভয়ে আমার ছেলেটা অন্য বাড়ির উপর দিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার বড় ছেলেকে ঘটনা জানালে তারা ওদের বাড়িতে যায়। পরে তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চায়। এ সময় গাজী মোল্লা সেখানে একটি দোকানে থাকা বাসের লাঠি নিয়ে দৌড়ানি দেয়। পরে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here