ডেস্ক রিপোর্ট::  বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৩৭ জন গবেষকের নাম এসেছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৭তম। গত বছর রাবির অবস্থান ছিল ১০তম।

আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ‌‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাংকিং-২০২৪’ এর তালিকা প্রকাশ করে। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক।

গত বছরের ন্যায় এ বছরের তালিকায়ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার। তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে রাবির সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে স্থান পেয়েছেন।

তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন- অধ্যাপক এম. ইয়ামিন হোসাইন (ফিশারিজ বিভাগ), অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক আকমা ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক এ.এইচ.এম. মাহবুবুর রহমান (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম. আশিক মোসাদ্দিক (ফার্মেসি বিভাগ), অধ্যাপক আবু ড. মো. খালেদ হোসাইন (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমাদ হুমায়ুন কবীর (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক মো. ইসমাইল তারেক (পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ)।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো মানের গবেষক আছেন। কিন্তু এসব গবেষণা সংঘটিত উপায়ে হয় না। প্রত্যেকে নিজের মতো গবেষণার কাজ করছেন। যদিও র‍্যাংকিং বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে রিসার্চ করার জন্য কোনো তাগিদ দেওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু গবেষণার মতো মৌলিক বিষয়গুলোর দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি আর্টিকেল প্রকাশ না করেন তাহলে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। যেটা মালয়েশিয়ায় হয়ে থাকে। সেখানে কোনো শিক্ষক যদি বছরে দুইটি আর্টিকেল প্রকাশ না করেন তাহলে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়। যারা গবেষণা করছেন তাদেরকে উৎসাহিত করাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি দায়িত্ব। আশা করছি, আগামীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আরও ভালো করবে।

সংস্থার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারা বিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ ও ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার ও চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়।

তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here