ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক :: বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া উদার পররাষ্ট্র নীতি এবং যুদ্ধ নয় শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) নৌ ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ (প্রথম পর্ব) ২০২১ এ অংশগ্রহণ (ভার্চুয়াল) করে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা সেনানিবাসের নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে একটি কথা স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তি চাই, কারণ শান্তি ছাড়া কোনো দেশের উন্নতি সম্ভব নয়, যুদ্ধ ধ্বংস ডেকে আনে, আমরা ধ্বংসের পথে যেতে চাই না। কিন্তু কেউ যদি আক্রমণ করে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার সব রকম প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় সব দিক থেকে আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আছে তার মধ্যে দিয়ে আমাদের সেভাবে প্রশিক্ষণও অব্যাহত রাখতে হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন হতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে আমরা চলতে পারি সেই প্রস্তুতিও আমাদের থাকতে হবে।

বাংলাদেশ দক্ষতায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং আমি এটুকু বলতে পারি- আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।

দক্ষদের পদোন্নতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নৌ ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা পদোন্নতির জন্য যে পদ্ধতিগুলো নিয়েছেন টিআরএসিই-ট্রেস (টেবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) আমি মনে করি, এটা একটা আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির ভিত্তিতেই আপনাদের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আপনারা নির্বাচনী পর্ষদ আগামী দিনে যারা দক্ষতার সঙ্গে নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী পরিচালনা করবে তাদের নির্বাচিত করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দক্ষ যারা তারা প্রমোশন পেয়ে প্রত্যেকটি বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব পাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ চলবে এবং বাংলাদেশ হবে ভবিষ্যতে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে নৌবাহিনী সদরদপ্তরে আয়োজিত নৌবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন থেকে কমোডর, কমান্ডার থেকে ক্যাপ্টেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার থেকে কমান্ডার পদবিতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়া বিমানবাহিনীর সদরদপ্তরে আয়োজিত বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের মাধ্যমে বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন থেকে এয়ার কমোডর, উইং কমান্ডার থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং স্কোয়াড্রন লিডার থেকে উইং কমান্ডার পদে যোগ্য প্রার্থীদের পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here