ডেস্ক রিপোর্ট:: বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান টেস্টে তৃতীয় দিন বিতর্কিত কাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। একাধিকবার তিনি বলে নিজের লালা ব্যবহার করেছেন, যা ক্রিকেটীয় আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও ওই ঘটনা নিয়ে ফিল্ড আম্পায়াররা সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। পরে এ নিয়ে অভিযোগ জানানোর কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। কিন্তু বিতর্কিত ওই ঘটনা নাকি চোখেই পড়েনি কিউই পেসার কাইল জেমিসনের।
তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসলে তার কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে জেমিসন বলেন, ‘৩৫ সেকেন্ড আগেই (সংবাদ সম্মেলনে এসে) আমি জানতে পারলাম। তাই আমার কোনো ধারণা নেই কী, কখন হয়েছে অথবা কী দেখা গেছে।’
ক্রিকেটের আইনের ৪১.৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারির পর যখন ক্রিকেট শুরু হয়েছে, তখন এই খেলার শর্তগুলোর মধ্যে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল বলে লালা ব্যবহার করা যাবে না। এমসিসির (ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা) গবেষণায় দেখা গেছে যে, বোলাররা যে পরিমাণ সুইং পান, তার ওপর লালার প্রভাব সামান্য বা কোনো প্রভাব নেই। খেলোয়াড়রা বল চকচকে করার জন্য যে ঘাম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নতুন আইন অনুসারে, বলের ওপর লালা ব্যবহারের অনুমতি আর নেই।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। ওভারটির তৃতীয় ডেলিভারির আগে বলে লালা মাখাতে দেখা যায় ফিলিপসকে। একবার নয়, দুইবার একই কাজ করেন তিনি। যদিও অন-ফিল্ড দুই আম্পায়ার আহসান রাজা ও পল রাইফেলকে এ নিয়ে ফিল্ডিং দলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।