যশোর প্রতিনিধি ::
নতুন বছর, নতুন ক্লাস। সেইসঙ্গে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত যশোরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বই উৎসবের মাধ্যমে জেলার ৫০ লাখ ২০ হাজার ৭৯১জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যপুস্তক। বই পেয়ে তারা বেজায় খুশি। আর তাদের হাতে বই তুলে দিয়ে সন্তুষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও।
২০২৪ নতুন বছরের প্রথমদিন সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বই উৎসবের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
এ সময় তার সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি খালেদা খাতুন রেখা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ কালেক্টরেট স্কুলের অধ্যক্ষ মোদাচ্ছের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, যশোরে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ পিস বইয়ের চাহিদা ছিল। তার শতভাগ হাতে পেয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ২৪০ পিস বইয়ের চাহিদা ছিল। এরমধ্যে অষ্টম-নবম শ্রেণির ইংরেজি বই বাদে সব বই এসে পৌঁছেছে। বছরের প্রথম দিনে সেসব বই তুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। আর নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন বই পেয়ে আমি খুব খুশি। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেব এবং নতুন নতুন গল্পগুলো বাসায় যেয়ে পড়বো। বছরের প্রথম দিন বই দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
শিক্ষার্থী জিয়াউল আহসান বলেন, ‘বই নেয়ার জন্য সকাল সকাল স্কুলে এসেছি। বই হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। বাসায় যে নতুন বই গুলো খুলে দেখবো। নতুন বইয়ের গল্পগুলো পড়বো।’
শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সরকার বিনামূল্য প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বই পৌঁছে দেয়। এ বছরও সারাদেশে ৩০ কোটি বই বিতরণ করা হচ্ছে। যশোরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রায় শতভাগ বই চলে এসেছে। আজ আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরে সন্তুষ্ট। তবে অল্প সংখ্যক যে বই আসেনি তা দ্রুতই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।’
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন। পরে যশোর জিলা স্কুল, কালেক্টরেট স্কুল ও নবকিশলয় স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতেও বই তুলে দেন তিনি।