লন্ডনের রাজপথে সরকারি কর্মচারী

ব্রিটেনে পেনশন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের এক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ধর্মঘট করছেন।

বর্তমান প্রজন্মের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্মঘটটি শুরু হয় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে।

ধর্মঘটের আগেই হাসপাতালে লক্ষ লক্ষ রোগীর এপয়েন্টমেন্ট বাতিল করা হয়।

শুধু হাসপাতালই না, সরকারি অফিস আদালতের বাইরে স্কুল-কলেজের শিক্ষক কর্মচারী, আদালতের কর্মচারী এমনকী বিমান বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এতে যোগ দিচ্ছেন।

ব্রিটেনের শিক্ষা দপ্তর বলছে, দেশের মোট স্কুলের মাত্র ১৩% ধর্মঘটের সময় চালু থাকবে মনে করা হচ্ছে।

স্কটল্যান্ডে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ২৭০০। কিন্তু খোলা রয়েছে মাত্র ৩০ টি।খবর : বিবিসি

এই ধর্মঘটে দেশে স্বাভাবিক কর্মকান্ড যে দারুণভাবে ব্যাহত হবে, সেই আশংকা করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী অ্যান্ড্রু ল্যানস্লি।

তিনি বলছেন, ”দু:খজনক হলো এই ধর্মঘট এমন এক সময় ঘটছে যখন শীতকালীন সমস্যাগুলো মাত্রই দেখা দিতে শুরু করেছে। এটা বড়দিন এবং নববর্ষের মৌসুম। ফলে সমস্যা আরও বাড়বে।”

সরকারি কর্মচারীদের ইউনিয়ন অভিযোগ করছে, ব্রিটেনের ঋণের বোঝা লাঘব করার লক্ষ্যে সরকারি এই পরিকল্পনায় পেনশনের জন্য কর্মচারীদের প্রদেয় অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং তাদের কাজের সময়ও বাড়ছে।

ব্রিটেনে কনজারভেটিভ পার্টি এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারি খাতে ব্যাপক সংস্কার শুরু করে।

সশস্ত্র এবং পুলিশ বিভাগ বাদে অন্যান্য কর্মচারীদের পেনশনের বর্তমান কাঠামোতে পরিবর্তন করে রাষ্ঠ্রীয় পেনশনের পাশাপাশি পেশাগত পেনশন ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেয়া হয়।

এই মূহুর্তে ব্রিটেনে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। ২০২০ সালে সেটি বাড়িয়ে ৬৬ বছর করারও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এই ধর্মঘট নিয়ে একটা আপোষ-মীমাংসা প্রচেষ্টাকে নস্যাত করা হয়েছে, সরকার এবং কর্মচারী ইউনিয়ন, উভয় পক্ষ থেকেই এই অভিযোগ করা হচ্ছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here