জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি ::
যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা গ্রামের আবদুল হালিম গাজী জানান, তার একমাত্র ছেলে এস এসসি পরীক্ষার্থী মনিরুজ্জামান মনিকে(১৫) বাগেরহাটে ফুসলিয়ে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে ঘাতকরা। বাগেরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করতে চাইলে পুলিশ অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে বলে এড়িয়ে যেতে চায় বলে অভিযোগ। শোকাহত পিতা অভিলম্বে ঘাতকদের আটক পুর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার একমাত্র ছেলে মনিরুজ্জামান মনি পাবনা থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।  তার ফেসবুকের বন্ধু বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার বর্শিবাওয়া এলাকার মিশকাতুল মানির মহুয়ার পরিচয় ঘটে এবং তার ডাকে ২২ এপ্রিল ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকায় দেখা হলে পরিকল্পতিভাবে মনিকে আটক করে ১০০ টাকা ষ্ট্রাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নাম মাত্র বিয়ের নাটক সাজায় এবং বাগেরহাটে ভাড়া বাসার ব্যবস্থা করে দেয়। ছেলে মনিরুজ্জামান মনি পাবনা চলে এসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬টি বিষয়ে পরীক্ষা শেষ হলে তাকে পুণরায় বাগের হাটে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।
গত ১৮ মে বাগেরহাটি সদর থানার এস আই রবিউল ইসলাম মনির বোন মনিরা খাতুন শান্তার মোবাইল ফোনে জানায়, মনি আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে গিয়ে মনির নিথর দেহ সাদা কাপড়ে মোড়া ছিলো। তাকে দেখে সনাক্ত করা কালিন দেখা যায় তার গলা জুড়ে কালো দাগ, দুকনুই জখম, মুখ দিয়ে রক্ত মিশ্রিত লালা বের হচ্ছে নাক মুখ ফোলা।
আমরা পুলিশকে বারংবার হত্যা করা হয়েছে বলে জানালেও পুলিশ কর্ণপাত না করে লাশ বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত  হয়ে পড়ে রহস্যজনক ভাবে। ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে মদের বোতল ও ইউজড কনডম ছিলো সে বাসার ভিতর। নিশ্চিত হত্যাকান্ড ঘটলেও পুলিশ শুধু মাত্র সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে। আমাদের কোন কথা পর্যন্ত শোনেনি।থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট পেলে দেখা যাবে বলে আমাদের বিদায় দেয়।
শোকাহত পিতা আবদুল হালিম গাজী জানান, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যার সাথে নিহত মনির কথিত স্ত্রী মহুুয়া, তার মা নিপা বেগম, বাবা মনিরুজ্জামান ও খালা নার্গিস সবুলতানা সিমু ও নানী রুবিনা বেগম ভাড়াটিয়াদের এনে তার ছেলেকে হত্যা করে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে তাদের আটক রাখার দাবি জানানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত মনির বোন মনিরা খাতুন শান্তা, চাচা আবদুল হামিদ গাজী।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here