সঞ্জিব দাস,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ::
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান সহ তিন জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, যৌতুক হয়রানি বিষয়ে পুত্রবধূ আজমিন কাজী, পিতা: সিরাজ কাজী, সাং পানপট্টি, গলাচিপা থানায় গত ১৫ই মার্চ/২৩ তারিখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং ১৩ তারিখ ১৫/৩/২৩ ইংরেজি। মামলার পরে গলাচিপা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন খান কে গলাচিপা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বাদী গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, তার শ্বশুর মোয়াজ্জেম খানের বড় পুত্রের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে তার বিবাহ হয়। কিন্তু মোয়াজম খান এ বিবাহ মন থেকে মেনে নিতে পারেনি ‌। আমার শশুর মোয়াজ্জেম খানের কুবুদ্ধিতে আমার স্বামীকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিজ হেফাজতে রাখে এবং অর্থের দাপটে সে কোন মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। ইতোপূর্বে মোয়াজ্জেম হোসেন খান তার পিতার বিরুদ্ধে ও তার দ্বিতীয় মাতার বিরুদ্ধে মামলা করে।
এছাড়া তার পরিবারের কারো সাথে কোনো সম্পর্ক নাই বলে জানা যায়। অর্থের দাপটে তিনি কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করে না। তার গ্রেপ্তারে ও জেল হাজতে প্রেরণ করায় বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তার অপরাধের দ্রুত বিচার দাবি করে বাদীপক্ষ এবং এবং পুত্রের স্ত্রীকে মর্যাদার সাথে তার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
এই ঘটনায় বিভিন্ন নারী সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো এই নারীর মর্যাদা ও মূল অপরাধী মোয়াজ্জেম খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মামলায় আসামিরা হলেন মোঃ কামাল হোসেন, এনায়েত সওদাগার ও মোয়াজ্জেম হোসেন খান। অপরাধী মোয়াজ্জেম হোসেন খান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাঁর পুত্রবধূর বাবাকে রক্তাক্ত জখম করে। বর্তমানে তিনি গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here