কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি ::

জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ তুলে পাবনা-৩ আসনের ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার সব কেন্দ্র এবং চাটমোহর উপজেলার ৬টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও পুন:নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন  স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ।

আজ (০৯ জানুয়ারী) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ বলেন, পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার ভোট কেন্দ্র থেকে নৌকার সমর্থকেরা আমার এজেন্টদের জোর করে বের করে দিয়ে জাল ভোট দিয়েছে, ভোট কেটে নিয়েছে। ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় এসব অনিয়ম করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যালট পেপার নিয়ে জোর করে সিল মেরেছে নৌকার লোকজন। অনেক কেন্দ্রের ভোটারদের তুলনায় ভোট বেশি কাটা হয়েছে। ফলাফল পর্যালোচনা করলে তার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া ব্যালটের মুড়ি বই অংশ পরীক্ষা করলে দেখা গেছে সেখানে ভোটারদের কোনো নম্বর বা স্বাক্ষর নেই। কারচুপি ও জালভোটে বিজয়ী হওয়ার পর আমার অনেক সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। ৩০ জনের মত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। অন্তত দেড় শতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর করেছে নৌকার লোকজন। এবারের নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে পাবনা-৩ আসনের ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার সকল ভোট কেন্দ্রের এবং চাটমোহর উপজেলার ৬টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান আব্দুল হামিদ।

উল্লেখ্য, পাবনা-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। মোট ১৭৬ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ১ লাখ ১৫৯ ভোট। মকবুল টানা তিন বারের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। অপরদিকে আব্দুল হামিদ সদ্য পদত্যাগী চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here