বিভিন্ন উৎসব আনন্দে বাঙ্গালী নাড়ীর টানে প্রিয়জনের কাছে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরে ফেরে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর অতি মুনাফা লোভী পরিবহন ব্যবসায়ি বাস গাড়ীর ভাড়া ২/৩ গুন বাড়িয়ে দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত স্বর্থ চরিতার্থ করছে। বাড়ী ফিরতে যেমন বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে তেমনি কর্মস্থলে যেতেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ফিরতে হচ্ছে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা গুলোতে গলা কাটা বাস ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ঢাকা গামী যাত্রীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রায়ই যাত্রীদের সাথে কাউন্টার মাষ্টারদের বাস ভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে। কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাত্রীদের ঢাকা সহ গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এ বাড়তি ভাড়া আদায় ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে স্থানিয় কাউন্টার সুত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসন থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা সংক্রান্ত একটি পত্র সংশিষ্ট পরিবহন মালিক সমিতি ও পরিবহন ব্যবসায়ি বরাবর প্রেরণ করা হলেও তদারকী না থাকায় তা কার্যকর হচ্ছে না। এ ব্যাপারেও প্রশাসন নীরব ভ‚মিকা পালন করছে।
পরিবহন মালিকদের খেয়াল খুশীমত ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে এ ফায়দা হাসিল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার, প্রশাসন বা বি.আর.টি.এ-র এখানে কোন নজরদারী বা মাথা ব্যাথা নেই।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন কাউন্টারের বুকিং মাষ্টাররা জানান এ বাড়তি ভাড়া আদায় ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ঈদের আগেও যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো এখন সেখানে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
কেন এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়?
এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার মাষ্টাররা জানান, এটা পরিবহন মালিকদের সিদ্ধান্ত। মালিকদের নির্দেশে বাড়ানো হয়েছে এবং মালিকরা বললে কমানো হবে। এখানে আমাদের কোন কর্তৃত্ব নেই। পরিবহন মালিকরা কমাতে বললে আমরা সাথে সাথে কমিয়ে বিক্রি করবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যাত্রী জানান, কাউন্টারে এসে জানতে পারলাম কোন বাসে সীট খালি নেই। পরে সে ৪০০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছেন। ফলে ভুক্তভুগি যাত্রীরা সরকার ও প্রশাসনের আশু নজরদারী কামনা করেছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহারিয়ার রহমান রকি/ঝিনাইদহ