গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দারিদ্র্যতার কারণে হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করার আগেই পাঠ চুকিয়ে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যে বয়সে শিশুদের বইখাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে তারা জীবিকার জন্য রিকশা, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চা, ইটভাটা নির্মাণ কাজ, ওয়ার্কশপ, রিকশা চালানো, দোকানের কর্মচারীসহ বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। শরীফ, আলামিন, বিপব এদের কারো বয়স ৮-১০ বছর। এ সকল শিশুরা স্কুলে যাওয়ার কোন সুযোগ পায়নি,৬ বছর আগেই সংসারের অভাবের কারণে কাজে নামতে হয়েছে। ওদের কেউ কেউ ভূমিহীন কৃষক পরিবারের সন্তান। বয়স্ক লোকের মতো শক্ত হয়ে গেছে। শিশুরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে মাত্র ৮০/৯০ টাকার বিনিময়ে হার ভাঙা পরিশ্রম করে। এ টাকায় তারা প্রতিদিনের বাজার চাল, ডাল ক্রয় করে কোন রকমে তাদের সংসার চালায়। পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে প্রতিদিন অনেক শিশু প্রচণ্ড রোদ-বৃষ্টির মধ্যে সারাদিন এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত রিকশা চালায়। উপজেলা সদরের জামালপুর গ্রামের শ্রমিক জাহিদের মার সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা গরিব মানুষ আমাদের এ ছাড়া কোন উপায় নেই।এ এলাকা মঙ্গা কবলিত হওয়ায় এ উপজেলায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। সরকারের পক্ষ থেকে শিশু শ্রম বন্ধর আইন থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দিন দিন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেকের ধারনা।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাদেকুল ইসলাম/গাইবান্ধা