পর্যটন মন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, পর্যটনের উন্নয়নে কক্সবাজার থেকে টেকনাফের সেন্টমার্টিন পর্যন্ত মাস্টার প্লান অনুযায়ী সমৃদ্ধ ট্যুরিজম জোন গড়ে তোলা হবে। তিনি আরো বলেন, পর্যটন শিল্পের সমপ্রসারণের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব। সেক্ষেত্রে সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রথমে নিজের মনকে বদলাতে হবে। আর মন না বদলালে দিন বদলের অঙ্গীকার কখনো বাস্তবায়িত হবেনা এবং পাশাপাশি দেশের উন্নয়নও পিছিয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। তিনি অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা বাস্তবায়ন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ড্রেইনেজ ও সুয়ারেশ ব্যবস্থা, কক্সবাজার সর্ম্পকে অপপ্রচারকারীদের সামাজিকভাবে বর্জনসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
২৮ নভেম্বর দুপুরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট আয়োজিত বাংলাদেশের পর্যটনের সংকট ও সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত কক্সবাজার’ শীর্ষক এক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার সম্পাদক ও তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ও কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সুচনা বক্তব্য ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে পর্যটন মন্ত্রী আরো বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প-সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব সকলের। দেশের পর্যটন শিল্পকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করতে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র , মাস্টার প্লান অনুযায়ী কক্সবাজারে স্থায়ী পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন পার্ক স্থাপন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত, কক্সবাজারে সোডিয়াম বাতিসহ সড়কে আলোকসজ্জা মানসম্মত করণ, শহর রক্ষা বাঁধ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড শ্রীঘ্রই শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি পর্যটনের সমস্যা-সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাবলিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইকবাল আহমদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদত জয়নুল বারী, পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ছাড়া ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে ফজলূল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধূরী, অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, পৌর আ’লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, জাসদ সভাপতি নইমূল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, উখিয়া উপজেলা আ’লীগ সভাপতি কবি আদিল চৌধুরী, রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
পরে কক্সবাজারের স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কালাম আজাদ/কক্সবাজার