রাঙামাটি শহরে বিক্রি করতে আনা কাপ্তাই হ্রদের (লেক) ঘাট ও পাহাড়ী পথে গরু-ছাগলবাহী পরিবহন আটকিয়ে ব্যাপকহারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করছেন হাটেঁ আসা পশু ব্যবসায়ীরা। কোরবানীর পশুবাহী ট্রলার ও বোটে রাঙামাটি শহরের আসতে ঈদ বকশিসের নামে পাহাড়ে ইউপিডিএফ,ঘাটে জেএসএস ও কাপ্তাই হ্রদে গুন্ডুস বাহিনীর সদস্যদের চাঁদা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গরু ব্যবসায়িরা। শহরের গরুর বাজারে বিক্রির জন্য গরু আনতে হলে তিনটি গ্রুফের স্থানীয় চাঁদাবাজরা গরুপ্রতি নির্ধারিত ১২’শ টাকা হারে চাঁদা নিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
জেলার কাপ্তাই হ্রদ ঘেসে পাহাড়ী এলাকা থেকে হ্রদ দিয়ে কাপ্তাই ও রাঙামাটি শহরে একটি গবাদি পশুর ট্রলার ও বোট নিয়ে আসতে লংগদু, নানিয়ারচর,বরকল,পারুয়া,হরিণছড়া,জীপতলী ধানপাতা, তক্তানালা, আলীখিংসহ বিভিন্ন পাহাড়, ঘাট ও হ্রদের পথে গরু নিয়ে আসার সময় ইউপিডিএফ, জেএসএস ও গুন্ডুস বাহিনীদের অঘোষিত ট্রেক্স দিতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকরা।
রাঙামাটি শহরের কোরবানির হাটে গরু বিক্রি করতে আসা পাহাড়ি-বাঙালি ৬০ জন গবাদী পশু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিনিধির কাছে কোরবানীর পশুর উপর চাঁদাবাজির একটি চিত্র তুলে ধরে জানান বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিটি গরুর জন্য স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলোর সন্ত্রাসী বাহিনীদের গরু প্রতি ৪শ’ করে তিন বাহিনীকে নির্ধারিত ১২ শ’ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করছে ব্যবসায়িদের। আর চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণ ও হত্যার হুমকি তো চলছে প্রতি মুহুর্তে।
এব্যাপারে ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা নেতা মিন্টু চাকমা ও জেএসএস এর সহ-সভাপতি ও শান্তি বাহিনীর সেনা ইউং প্রধান উষাতন তালুকদার প্রায় অভিন্ন সুরে এ প্রতিনিধিকে জানান তাদের সংগঠন গুলো কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে কোন প্রকার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে না।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আলমগীর মানিক/রাঙ্গামাটি