নুর আলম, নীলফামারী প্রতিনিধি ::

নীলফামারীর কুমলাই নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নদীর জমি নদীর নামে অন্তুর্ভুক্ত করা ও এর প্রবাহ সচল রাখাসহ দশদফা দাবী বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলন করেছে রিভারাইন পিপল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির পরিচালক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ।

এতে বলা হয় ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর নামক স্থানে উৎপত্তি হয় কুমলাই নদীর। তিস্তা নদীর আন্তশাখা এই নদীর দৈর্ঘ্য ২০কিলোমিটার। খালিশা চাপানি ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদী। বর্তমানের নদীখেকোদের কারণে নদীটি মরণাপন্ন। বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে নদীটি ভরাট করে। পুকুর ও আবাদী জমিও বানিয়েছেন অনেকে।

২০১৯ সালে দেশের উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। এতে নদীকে হত্যা করা ফৌজদারী অপরাধ হিসেবেও গণ্য করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ২৭০ জন অবৈধ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ, সীমানা চিহিৃত করণ, নদীটির পুরোনো প্রবাহপথ সচল করা, নদীর উপর থেকে স্কুল কলেজ সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর এবং নদীর অবৈধ দখল, খাজনা খারিজ, ক্রয় বিক্রয়, রেকর্ডভুক্ত করার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ দশদফা দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয় সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি। সংবাদ সম্মেলনে নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের
আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম, রিভারাইন পিপল’র জেলা সমন্বয়কারী আব্দুল ওয়াদুদ বক্তব্য দেন।

রিভারাইন পিপল’র পরিচালক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নদীটি সুরক্ষায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভা সমাবেশ, সচেতনতা সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন কর্মসুচি
বাস্তবায়ন করা হবে এখন থেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here