নবীগঞ্জে থানার বহুল বিতর্কিত ওসি (প্রশাসন) জসিম  উদ্দিনের রেকর্ডকৃত একটি অডিওবার্তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়াগেছে। গত ২৯ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দ জিউড় আখড়ায় পুঁজা কমিটির এক সভায় ওসির দেয়া বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে। এতে সিলেটের মুসলিম সমপ্রদায়কে নিয়ে কটাক্ষমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠে। ২২ নভেম্বর পুলিশ সুপারের নিকট ওসির অপসারণ চেয়ে লিখিত আবেদন করে উপজেলা পুঁজা পরিষদ। পরে সাংবাদিকদের নিকট ওসির রেকর্ডকৃত অডিওবার্তা দেয়া হয়। এতে মুসলিম সমপ্রদায়কে নিয়ে ওসির কান্ডজ্ঞানহীন কথোপকথন প্রকাশ হয়ে পড়ে। এনিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পুঁজা পরিষদ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়,গত ২৬ অক্টোবর রাতে থানার একাংশের দেয়ালে কালিপুঁজার প্রজ্জুলিত মোমবাতি লাঠি দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় পুলিশ। এতে সনাতন ধর্মালম্বীরা ক্ষোব্ধ হয়ে উঠে। ২৯ অক্টোবর শহরের শ্রী-শ্রী-গোবিন্দ জিউড় আখড়ায় জরুরী সভার আহবান করে উপজেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদ। এতে আমন্ত্রণ ছাড়াই উপস্থিত হন ওসি জসিম উদ্দিন। প্রথমেই মোমবাতি ছুড়ে ফেলার ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় তিনি থানার অভ্যন্তরে বিদ্যমান (থানার নামে রেকর্ডকৃত) ২৯ শতক ভূমি লিখিত ও মৌখিক প্রচেষ্টায় উদ্ধারের ঘোষণা দেন। যা সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূত। এক পর্যায়ে ওসি বলেন,সিলেটের মুসলমানরা সনাতন ধর্মালম্বী ছিল। হযরত শাহজালাল এসে ইসলামের বাণী প্রচার করলে নিম্নজাতের ও কম আয়ুর সনাতনীরা ইসলাম গ্রহণ করে। আসলে মুসলমানরা হচ্ছে ডাইভারটেড। ওসির রেকর্ডকৃত অডিওবার্তায় স্পর্সকাতর এ বক্তব্যে ক্ষোব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। একাধিক সংগঠন আন্দোলনের কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। ওসি মোঃ জসিম উদ্দিন তার বিরোদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আলমগীর মিয়া/নবীগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here