নবীগঞ্জের এরাবরাক নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে শত বছরের স্বপ্নের একটি ব্রীজ। জাতীয় কয়েকটি দৈনিক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় বিরল এক দৈন্যদশার অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইউপি চেয়ারম্যানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে প্রায় শেষ পর্যায়ে ।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায় পাল্লা কবে ব্রীজের উপর দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়ত করে তাদেও লালিত সপ্ন পুরন করবে।সরজমিনেগিয়ে দেখাযায়, উপজেলার আউশকান্দি ইউপির উমরপুর,আলমপুর,মংলাপুর,ইসলামপুর,জালালপুর,চৈতন্যপুর,মিনহাজপুর,জিয়াদিপুর,নাজির পুর,পরাশত পুর,বকসিপুর সোনাপুর সহ প্রায় ১৫ গ্রামের জীবনযাত্রা একটি ব্রীজের জন্য অচল ছিল। উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা হিসেবে তাদের পরিচিতি ছিল বিদ্যমান। বাঁশের নির্মিত শাকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্কুল কলেজ আর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করত। কচুরীপনায় জমে থাকত পানি। নৌকা চলাচলের সুযোগ ছিলনা। নদী ভরাট হওয়ায় ইউনিয়নের সৈয়দপুর-গোড়ারাই এবং সোনামপুর-চরগাঁও সড়কে চলাচলের একমাত্র রাস্তা দিয়ে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের দুর্ভোগ ছিল চরমে। উপজেলার সীমান্তবর্তী মৌলভী বাজার সদর ইউনিয়নের গোড়ারাই,কাটারাই,লামুয়া,সরকার বাজার,কেশবপুর,সাতিয়া এলাকার লোকজন কেবল একটি মাত্র ব্রীজের জন্য অসহায় ছিল। নির্বাচনের ট্রামকার্ড হিসেবে তাদের ব্যবহার করা হলে ও কোন সরকারের আমলেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অনেক দৌড়ঝাপ করে স্থানীয় মন্ত্রী,এমপির সহানুভূতি পায়নি বঞ্চিত জনপদের লোকজন। একটি ব্রীজের জন্য ১ কি:মি: রাস্তা অতিক্রমে দেড় ঘন্টা সময় ব্যয় হতো। অতিরিক্তি প্রায় ২৫ কি: মি: রাস্তা অতিক্রম করে লোকজন যাতায়াত করত। বিদ্যমান জনদুর্ভোগ লাগবে এগিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দিলাওয়ার হোসেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রীজের নির্মাণ কাজ পুরোদমেই চলছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজেস্ব অর্থায়নে এলজিডির তত্বাবধানে ৮২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে স্বপ্নের ওই ব্রীজ। এলাকাবাসীর অভিমত সদিচ্ছার নজির স্থাপন করলেন ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওয়ার হোসেন। গত বছরের ২৩ মে শুরু হওয়া রাস্তার কাজ চলতি বছরই সমাপ্তির লক্ষমাত্রা নিয়ে পুরোদমে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ আর এমরান ট্রেডার্স। ব্রীজের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষে হয়ে গেছে, ২০১২সালে জানুয়ারী মাসেই ব্রীজটি জনগনের যানচলাচলের জন্য উন্মক্ত করে দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওয়ার হোসেন বলেন,মানুষের সেবাকে আমি এবাদত মনে করি। শত বছরের দুর্ভোগ কবলিত জনপদের লালিত স্বপ্নের ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় সকলের সঙ্গে আমি ও আনন্দিত।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আলমগীর মিয়া/নবীগঞ্জ