জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী-তারাটিয়া সড়কটি চলাচলে প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ায় চরম ভোগানিত্ম  পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি রড়্গাকল্পে দেওয়ানগঞ্জ এলজিইডি হাতিভাঁঙ্গা ইউনিয়নের কাঁঠারবিল ও সবুজপুর এলাকায় প্রটেকশন কাজ বাসত্মবায়ন করে।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১লা আগস্ট এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রটেকশন কাজের উদ্ভোধন করা হয়। কিন্তু অল্প দিনেই প্রকল্পের মূল অংশের সিংহভাগ ধসে গেছে।

এ ব্যাপারে হাতিভাঁঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফ বলেন, কাঁঠারবিল এলাকায় পাকা সড়কটির বেশীরভাগ অংশই ভেঙ্গে যাওয়ায় ঢাকার সাথে  রৌমারী, রাজিবপুর, কর্তিমারী, সানন্দবাড়ী সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে  গেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে ঢাকাগামী দূরপালার বাস এবং পণ্যবাহী ট্রাক সমূহ অন্য একটি বিকল্প সড়কে চলাচল করলেও ছোট যানবাহনগুলি ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়েই  চলাচল করছে।

উপজেলা প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম  বলেন, জিঞ্জিরাম নদীতে স্রোত না থাকলেও বৃষ্টির সময় পাহাড়ি ঢলের কারণে প্রটেকশন কাজের ১২৭ মিটার ভেঁঙ্গে  গেছে। তবে শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামত করে পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। পার্শ্ববর্তী  জেলা কুড়িগ্রামের দুর্গম দু’টি উপজেলা রৌমারী এবং রাজীবপুরের অধিকাংশ মানুষ এ সড়ক দিয়েই দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ও জেলা শহর জামালপুরে যাতায়াত করে থাকে।

অপরদিকে, জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার লোকজনও এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন বলে সড়কটির গুরুত্বঅপরিসীম।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এই প্রটেকশন কাজটি বাসত্মবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সালাম এন্ড সন্স’-এর বিরুদ্ধে কাজটি শুরুর পর হতেই স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নিম্নমানের কাজসহ নানা অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এলজিইডি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগগুলো আমলে না নিয়ে এড়িয়ে যান।

এলাকাবাসী  আরো জানায়, সিসি বস্নক তৈরি ও পেস্নসিং মাটি সঠিকভাবে কমপেক্ট  না করায় নদীতে পানির স্রোত না থাকা সত্ত্বেও প্রটেকশন কাজের মূল অংশের সিংহভাগই ভেঙ্গে গেছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাইদুর রহমান/জামালপুর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here