তানিয়া সরকার, ঠাকুরগাঁও
সীমান্তে প্রচললিত বাধ্যবাধকতা ডিঙ্গিয়ে প্রতিবেশী দুটি দেশের মানুষের দেখা সাক্ষাতের দুর্লভ সুযোগ পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের কোচাল ও চাঁপাসা সীমানে-র মাঝামাঝি কুলিক নদীর তীরে দুই বাংলার মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামাপুজা উপলক্ষে বিজিবি-বিএসএফ’র অনুমোতিতে শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন- এই সুযোগ পায় দুই বাংলার স্বজনরা।
ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ জেলার বিএসএফ’র খুকরাদহ ক্যাম্পের প্রানডাঙ্গী ও বিন্দোল এলাকায় ওপারের আত্নীয়রা সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে। আর এ বাংলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ভুতডাঙ্গী পাথরকালী মন্ডপে শ্যামাপুজা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী মেলা। ওপারের আত্নীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে ঠাকুরগাঁও ছাড়াও পঞ্চগড়,দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার হাজার হাজার নারী পুরুষ সেখানে জড়ো হন।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীর বন্দর গ্রামের অপুচন্দ্র রায় ৫বছর পর এবার এসেছেন ভারতে থাকা তার বোনের সাথে দেখা করতে। বেলা দেড়টায় হাজারো মানুষের ভীড়ে খুঁজেপান অপুচন্দ্র তার বোনকে। বোনের সাথে কুশল বিনিময় মতে আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি।
হরিপুরের বাবুল চন্দ্ররায় ৪০ বছর পর তার বোন কাতরাই রানী,ভাগ্নে ও ভাগ্নির সাথে দেখা হয়। এ সময় তিনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
ভারতের বিন্দোল গ্রামের অজয় সরকার দুঃখ করে বলেন, মিলন মেলা নয়,এটি যেন চোখের জলের মিলন।
পাথর কালির মেলা উপলক্ষে প্রতিবছরের এখানে এধরনের মেলার আয়োজন করা হয়। গতবছর এই সময়ে দুদেশের অনুমোতি না পাওয়ায় দুই বাংলার আত্মীয় স্বজনরা ফিরে যান।