মনোনেশ দাস,ময়মনসিংহ
ত্রিশাল বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী (আর.ই) মোঃ তহুর উদ্দিন ও অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বে-পরোয়া দুর্নীতির কারনে বিদ্যুতের গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত চরম হয়রানীসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস’ হচ্ছে। ভ’ক্তভোগীদের অভিযোগ দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা লুটিয়ে নিলেও কেউ যেন দেখার নেই। সচেতন মহলের দাবী দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস’া নেয়া না হলে সাধারন মানুষের হয়রানীসহ সরকার বৎসরে লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস’ হবে।
জানাগেছে ত্রিশাল বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ তহুর উদ্দিন ও অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম মিলে অসংখ্য অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের সহযোগী হিসেবে অফিস সহকারী নজরুল ইসলামের আপন ছোট ভাই রিপন ও আপন ভাতিজা আসাদুলকে ত্রিশাল বিদ্যুৎ অফিসে মাষ্টার রোলে নিয়োগ দিয়েছেন। রিপন ও আসাদুলের মাধ্যমে এসকল অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আবাসিক প্রকৌশলী ও অফিস সহকারী ভাগ ভাটোয়ারা করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ত্রিশাল বাজার, রামপুর, সাখুয়া, পোড়াবাড়ী বাজারে মিটার বিহীন এসকল অবৈধ লাইন ঝুলছে। এছাড়াও অধিকাংশ মিটারের রিডিং না দেখে অফিসে বসে অনুমান নির্ভর বিল তৈরী করা হয়। প্রায় প্রত্যেকটি মিটারের রিডিংয়ের দ্বিগুন থকে তিনগুন পর্যন্ত বিল করে গ্রাহকদের হয়রানী করা হচ্ছে। গ্রাহকরা রিডিংয়ের বেশি বিল দিতে না চাইলে তাদেরকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জড়িমানাসহ মামলার হুমকিও পর্যন্ত দেয় আবাসিক প্রকৌশলী তহুর উদ্দিন ও অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম। এব্যাপারে চকরামপুর বাহাদুরপুরের গ্রাহক নুরুল ইসলাম খান ও সাখুয়ার তাফাজ্জুল হোসেন অভিযোগ কওে বলেন আমরা আর কতদিন এরকম হয়রানী হব।
অভিযোগ রয়েছে অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম তার ছোট ভাই রিপন ও ভাতিজা আসাদুলের মাধ্যমে বড় বড় হোটেল, দোকান ও বাসার মিটারের টেম্পারিং করে রিডিং কমিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে অসংখ্য। এসকল টাকার মোটা অংকের ভাগ আবাসিক প্রকৌশলী তহুর উদ্দিনকে দেয়া হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী ৭০ থেকে ১০০ফুট দুরত্ব পর্যন্ত বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ১ থেকে ৪হাজার ফুট দুরত্বেও সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এসকল ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের ডি-১১,১২ তার ক্রয় করে সংযোগ দেয়া হলেও প্রশাসনের কেউ যেন দেখার নেই। অপরদিকে মিটারসহ সংযোগ দিয়ে ৬থেকে ২বছর পর্যন্ত একাউন্ট বিহীন অবস’ায় গ্রাহকদের অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে রিডিং অনুযায়ী টাকা আদায় করে নিজেরা পকেট ভারী করছেন। পরবর্তীতে নতুন মিটার লাগিয়ে সংযোগ বৈধ করা হয়।
বিদ্যুৎ অফিসসূত্রে জানাগেছে ত্রিশাল অফিসের অধীনে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৮৪৬০ এর মধ্যে আবাসিক ৬৪৪৮, বানিজ্যিক ১৬০০, ফোর ফোরটি (৪৪০ ভোল্টের) ক্ষুদ্র শিল্প ১৪৯, অন- আবাসিক (ডি শ্রেনীর) -১৫২, এফ শ্রেনীর- (এইচ.টি) ৩ টি এবং জে শ্রেনীর (পৌর লাইন) ৮টি সংযোগ রয়েছে।
এসকল বিষয়ে অফিস সহকারী নজরুল ইসলামের সাথে গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বারবার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
ত্রিশাল বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ তহুর উদ্দিনকে গত ২দিন অফিসে না পেয়ে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।