সিটি কর্পোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগের বিধান ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দু’ভাগ করার বহুল আলোচিত বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

তবে বিলটি উত্থাপনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য মো. ফজলুল আজিম।

বুধবার স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন)  (সংশোধন) বিল ২০১১ নামের ওই বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক।

তিনি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে বিলটি উত্থাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বিলটি উত্থাপনের অনুমতি চাওয়ার পর ফজলুল আজিম বিলটি উত্থাপনের ব্যাপারে আপত্তি জানান।

ফজলুল আজিম বলেন, ‘ঢাকা একটি ঐতিহাসিক নগরী। রাজনৈতিক কারণে এর বিভক্তি করা ঠিক হবে না। সমস্যা অনেক। তবে দ্বি-খণ্ডিত করা কোনও সমাধান নয়। ঢাকাবাসীও এ বিষয়ে বিরোধিতা করছে। আমি এই বিলটি উত্থাপনের উপর আপত্তি জানাচ্ছি।’

এ সময় তিনি মেট্রো সরকার প্রতিষ্ঠা করার দাবি করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেবা উন্নত করার জন্যেই এ বিলটি আনা হয়েছে। জনগণের কাছে সিটি কর্পোরেশনের সেবা পৌঁছানোই এ বিলের লক্ষ্য।’

আজিম আরও বলেন, কতজনের সঙ্গে কথা বলেছেন, আমি জানি না। তবে আমি ঢাকার বাসিন্দা, আমার মতামত নিলে উনি বুঝতেন।’

নানক বলেন, ‘বিলটি সংসদীয় কমিটিতে যাওয়ার পর আলোচনার সুযোগ রয়েছে। ত্রুটি থাকলে সেখানে আলোচনা হবে।’

এরপর স্পিকার আব্দুল হামিদ বিলটি উত্থাপনের বিষয়টি কণ্ঠভোটে দেন। কণ্ঠভোটে বিলটি উত্থাপনের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হওয়ায় বিলটি উত্থাপন করা হয়।

পরে বিলটি আরও যাচাই করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটি পাস হলে বর্তমান ডিসিসি ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন’ এবং ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’ নামে দু’ভাগে বিভক্ত হবে।

একই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলররাও আর নিজ পদে বহাল থাকতে পারবেন না।

এর ফলে নতুন সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত যে কোনও উপযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here