চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি) বেড়ি বাঁধের ভেতরে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে চলছে নৌযান। বর্ষা মওসুমে বেশ ভালোভাবেই চলে বাঁধের নানুপুর স্লইচ গেট সম্মুখে ভেতরের ডাকাতিয়া নদীতে নৌযানগুলো। কিন’ পানি কমতে শুরু করায় নদীর পানির সাথে সমতা রেখে স্লইচ গেট দিয়ে ভেতরের পানি বের করা হয়। ফলে গেট সম্মুখের ভেতরে ডাকাতিয়া নদীর পানি কমে নাব্যতা সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। এতে জোয়ারের ওপর নির্ভর করে এখন নৌযান চলাচল করছে। এ পরিসি’তিতে আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে নাব্যতা সঙ্কট নিরনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে যদি ড্রেজিং করা না হয় তাহলে যে কোনো মুহূর্তে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

নানুপুর স্লুইচ গেট দিয়ে প্রতিদিনই সিআইপি বেড়িবাঁধের ভেতরে বালিভর্তি কার্গো, কাঠবোঝাই ও পণ্যবাহী কার্গো প্রবেশ করে থাকে। এগুলো চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ী ও স্লইচ গেট ইজারাদার মারা্তক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বে। গত সোমবার বিকেলে স্লুইচ গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশকারী কার্গোর সুকানির সাথে আলাপ করলে তিনি এ সমস্যার কথা জানান। স্লুইচ গেট সম্মুখ থেকে বাঘড়া বাজারের নিকট পর্যন- প্রায় দেড় কিলোমিটারে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

প্রতিদিন বালি নিয়ে ৫/৬টি কার্গো ভেতরে প্রবেশ করে থাকে। শুষ্ক মৌসুম চলে আসায় বেড়িবাঁধের ভেতরের পানি বের করায় নদীর ভেতর শুকিয়ে জেগে ওঠেছে বিশাল বিশাল চর ও ডুবোচর। এ কারণে নৌযান চলাচলে মারা্তক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। নানুপুর স্লুইচ গেট ইজারাদার জানান, “৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গেট ইজারা নিয়ে নৌযান পারাপার করে টোল আদায় করছি। পূর্বে প্রতিদিন ১৫/২০ টি মালবাহী কার্গাে যাতায়াত করলেও বেড়িবাঁধের ভেতরের ডাকাতিয়া নদীতে চর-ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচলে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে হচ্ছে। যার কারণে পূর্বের ন্যায় এখন আর মালবাহী কার্গো আসতে চাচ্ছে না।

এতে এ বছর আমাদের অনেক টাকা লোকসান গুণতে হবে।” তাই স্লুইচ গেট থেকে বাঘড়া বাজার পর্যন- নদীটি এখনই খনন করা প্রয়োজন। এ ব্যাপরে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও বদরুদ্দিন মোল্লা জানান, গেটের ভেতরের পানি কমিয়ে ফেলায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পানি কমায় ডুবোচর দেখা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার অফিসে আলাপ আলোচনা হয়েছে। নদী খননের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জরুরি ভিত্তিতে জানানো হবে।

 

এ কে এম শাহেদ, চাঁদপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here