হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সুরমা, তেলিয়াপাড়া,  এখতেয়ারপুর, জালুয়াবাদ, শাহজাহানপুর ও জগদীশপুর এলাকায় টমেটোর চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন সহস্রাধিক কৃষক। এতে এলাকার কৃষকের ভাগ্যবদল হয়েছে। প্রথমে ২-১ কৃষক উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো স্বল্প পরিসরে চাষ করে লাভবান হন। এখন শত শত কৃষক টমেটোর চাষ করছেন। বর্তমানে টমেটো এসব এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে স্থান পেয়েছে।

মাধবপুর উপজেলার গোয়াসনগর গ্রামের জমসিদ মিয়া জানান, তিনি এ বছর ২৫ বিঘা জমিতে টমেটোর চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। কৃষকরা জানান, জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে বীজতলায় টমেটোর চারা উৎপাদন করে ভাদ্র মাসে তা রোপণ করা হয়। কার্তিকের প্রথম দিকে টমেটো গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরম্ন করে।

আশ্বিনের মাঝামাঝি ও অগ্রহায়ণের প্রথম দিকে টমেটো পাকতে শুরম্ন করে। ফলনভেদে প্রতি বিঘা জমির টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। এ অঞ্চলের কৃষকরা মূলত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টমেটোর চাষ করে থাকেন।

প্রথমে যে সব কৃষক ক্ষুদ্র্র পরিসরে টমেটোর চাষ করতেন, দিন দিন তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টমেটোর চাষ করেন। এতে কৃষকরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। টমেটো চাষ করে এখন পর্যনত্ম কোনো কৃষকের লোকসানে পড়তে হয়নি।

প্রতি কেজি টমেটো ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি রঙের এ টমেটো দেখতে অনেকটা লাল আপেলের মতো। টমেটো চাষি মিজান মিয়া জানান, গত ৮ বছর ধরে তিনি উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটোর চাষ করছেন। প্রথমে আশানুরূপ ফলন না হলেও ধীরে ধীরে চাষ পদ্ধতিতে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এখন তারা নিজেরাই নার্সারিতে চারা উৎপাদন করে টমেটো চাষ করছেন।

চাষি নজরম্নল ইসলাম জানান, টমেটো সাধারণত শীতকালীন ফসল। আগে আমাদের এলাকার চাষিরা শীতকালে দেশিজাতের টমেটো চাষ করতেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এলাকার কৃষকরা গ্রীষ্মকালে টমেটো চাষ করছেন। এ এলাকার টমেটোর চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় এ বছর মাধবপুরে উচ্চ ফলনশীল আগামজাতের টমেটোর ফলন হয়েছে ভালো। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শায়েল/হবিগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here