জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় দিতে হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দুদিনের সম্মেলনের শেষ দিনে তিনি একথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অর্থের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি সম্মেলনে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দাবি আদায়ে এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সবাইকে একসাথে চলতে হবে।
এছাড়া বান কি মুন মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নায্য দাবি আদায়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
একই সাথে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেবার জন্য উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলো যেসব শর্ত দিচ্ছে, তা স্বল্পোন্নত দেশের অর্থনীতির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো বিশ্ব সহায়তা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ এই দেশগুলোকেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, এই সকল ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনে নতুন ও অতিরিক্ত সহায়তা দেয়া উচিত।
দুই সপ্তাহ পর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের অনুষ্ঠিতব্য ‘টপ সেভেনটিন’ সম্মেলনে ঝুঁকি মোকাবিলার চেয়ে সহনীয় কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিতে উন্নত দেশগুলোকে পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম’ একটি কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমাদের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ন্যায্য চাহিদা আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। যাতে বিশ্ব নেতৃত্ব আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন রোধ এবং অবিচার বন্ধে কার্যকরভাবে এগিয়ে আসতে বাধ্য হয়।’
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত বছর বিশ্বে তিন লাখ মানুষ মারা গেছে। ১৩ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। সময় মতো পদক্ষেপ না নিতে পারলে ক্ষতি ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা