নিজস্ব প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বর্তমানে বাংলাদেশ যে আলোকিত পথ ধরে চলছে তা ধরে রাখাতে আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামীকেই গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যালামনাইয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যাদের ভোট দিবে তারাই নির্বাচিত হবেন। এটা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এটাই বিশ্বাসী। আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ আলোকিত পথ ধরে চলছে। এ আলোকিত পথ থেকে দেশ সামনে বিচ্যুতি হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ যে আলোকিত পথ ধরে চলছে তা ধরে রাখতে জনগণ বর্তমান সরকারকে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত করবে। রাজাকার, আলবদরদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল তাদের সময় দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলার জন্য পচাত্তর পরবর্তী দেশের হাল ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লড়াই সংগ্রাম করে দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আলোর পথে চলছে। তিনি নেতৃত্বে থাকলে দেশ আলোর পথ থেকে কখনোই বিচ্যুত হবেনা।
স্মৃতিচারণ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আজকে আমি নেতা এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে। আজ যা হয়েছি এর পেছনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব যখন ৬ দফা দিলেন তখন আমি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। আমাদের নেতারা তখন ৬ দফার মূল ভিত্তি আমাদের বোঝাতেন। এই প্রতিষ্ঠানে যদি না পড়তাম তাহলে হয়তো আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন নেতা এবং একজন মন্ত্রী হওয়ার দূর্বার গতি আমার হতো না। জগন্নাথে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমার গতি টা দূর্বার। কেউ আমাকে বাঁধা দিতে পারতো না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যালামনাইয়ের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা, বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল ইসলামসহ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।