মোঃআশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ::

সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৬ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ৩টি আসনে গড় ভোট পড়েছে ৩৫ দশমিক ৩৬৮ ভাগ। বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের মধ্যে ১ ভাগ পেতে হবে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি, বিএনএম’র প্রার্থীসহ ১১ জন
রয়েছেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ৩টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

জামানতহারা প্রার্থীরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের মোঃ গোলাম রাব্বানীর প্রাপ্ত ভোট ২২ হাজার ১২৪, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের অধ্যাপক আফজাল হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৭৬৬, বিএনএফ’র টেলিভিশন প্রতীকের নুরুল ইসলাম জেন্টুর প্রাপ্ত ভোট ২৯৩৯, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র
মোমবাতি প্রতীকের নবাব মোঃ শামসুল হোদার প্রাপ্ত ভোট ৭৫৪ এবং এনপিপি’র আম প্রতীকের আব্দুল হালিমের প্রাপ্ত ভোট ৫৩০।

এ আসনে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫৩ এবং ভোটের হার ৩৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনএফ’র টেলিভিশন প্রতীকের মোঃ আজিজুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ৩৩২, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মোঃ আব্দুর রশিদের প্রাপ্ত ভোট ২১০৬ এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রাপ্ত ভোট ৯০৭। এ আসনে প্রদত্ত ভোট হচ্ছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৭ এবং ভোটের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনএম’র নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আব্দুল মতিনের প্রাপ্ত ভোট ৮৫৪৩, বিএনএফ’র টেলিভিশন প্রতীকের মোঃ কামরুজ্জামান খানের প্রাপ্ত ভোট ৮৪১ এবং এনপিপির আম প্রতীকের মোঃ নাহিদ আহম্মেদের প্রাপ্ত ভোট ১০৪০। এ আসনে প্রদত্ত ভোট হচ্ছে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৮ এবং ভোটের হার ২৩ দশমিক ৬০৪ শতাংশ। ৩টি সংসদীয় আসনে কাংখিত ভোট না পাওয়ায় ১১ প্রার্থী তাদের জামানত হারাতে হচ্ছে।

জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে পরাজিত প্রার্থীদের। কাংখিত ভোট না পাওয়ায় জামানত ফেরত পাবেন না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here