চাঁদপুরে ১’শ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এটি চালু হলে আগামী বছরই ১’শ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এতে করে চাঁদপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলা বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে রক্ষা পাবে। বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ১ হাজার ২’শ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর ১’শ ৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
জানা যায়, বিদ্যুত কেন্দ্রের বিদেশী ঠিকাদার মূল কাজের ১ হাজার ৫ কোটি টাকার কাজ করছে। তাদের কাজ সমাপ্ত করার সময় সীমা নির্ধারণ আছে ফেব্রুয়ারি ২০১২ সাল পর্যন্ত। চায়না চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী এ কাজে নিয়োজিত আছে। অপরভাগে দেশীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১’শ ৯৫ কোটি টাকার কাজ করছে। গ্যাস সংযোজনে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিঃ (বি.জি.এস.লিঃ) সম্পৃক্ত। জ্বালানী মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত পেট্টো বাংলা ওই প্রকল্পে কাজ করছে। পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকার বহন করছে।
বিদ্যুত কেন্দ্রেটির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে গেলে, প্রকল্প এলাকার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (পিডিবি) মোঃ হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্রে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রপাতি, স্ট্রকচার বিদেশী তৈরি। প্রকল্প এলাকায় মালামালের কোন অভাব বা সমস্যা এখনও সৃষ্টি হয়নি। নিয়মানুসারে প্রতি ৩ মাস পর পর বরাদ্দের টাকার অংশ পাওয়া যাচ্ছে। জাহাজে মালামাল আসছে। লড়িতে, বড় বড় ট্রাকে করে চাঁদপুরে পর্যায়ক্রমে চাহিদামত সকল সরঞ্জাম আসছে। নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে।
বিদ্যুত উৎপাদনের দুষিত বর্জ্য ময়লা পানি ডাকাতিয়া নদীতে পড়লে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে, এরূপ প্রশ্নের জবাবে পিডিবি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, দুষিত পানিকে শোধন করে বিশুদ্ধ করতে হবে। পিউর ওয়াটার ডাকাতিয়া নদীতে পড়বে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৫ এপ্রিল চাঁদপুর আসলে কয়েকটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুতের এই কেন্দ্রটি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিও যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে এর খবরাদি নিচ্ছেন এবং তার দিকে থেকেও তাগিদ রয়েছে কাজটি দ্রুত সম্পাদন করার।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এ কে এম শাহেদ/চাঁদপুর