গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে বিদ্যুতের দাম গড়ে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে মূল্যায়ন কমিটি।
তবে গণশুনানির কথা বলা হলেও এতে ভোক্তা অধিকারভিত্তিক সংস্থা ক্যাব’র প্রতিনিধি ছাড়া কোনো গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন না। এতে গণশুনানির বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের ওপর এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বিইআরসি হলরুমে এ শুনানি করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন এবং সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ও প্রকৌশলী ইমদাদুল হক।
পিডিবি’র পক্ষে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করেন পিডিবি’র সদস্য (ডিস্ট্রিবিউশন) আবদুহ রুহুল্লাহ এবং পরিচালক (সিস্টেম প্ল্যানিং) মিজানুর রহমান।
গত ১৬ মে পিডিবি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ২১ শতাংশ বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসির কাছে প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে গত ৫ অক্টোবর এ ব্যাপারে উম্মুক্ত সভা হয়। সভা শেষে বিইআরসি গণশুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে।
শুনানিতে আবেদন মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় পিডিবির সব গ্রাহকশ্রেণীর জন্য বিদ্যুতের দাম গড়ে ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ হারে বাড়ানো যেতে পারে।’
এছাড়া বিলম্ব ফি বাবদ বকেয়ার বিপরীতে ২ শতাংশ সরল সুদ হারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত সারচার্জ আদায়ের কথা বলা হয়েছে কমিটির সুপারিশে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন বলেন, ‘এখনই দাম বাড়ানোর সময় হয়নি। তবে পাইকারী বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্রিয়া চলছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোটাই যুক্তিযুক্ত হবে।’
এদিকে, পিডিবি’র পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের দাম ২১ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছি। উৎপাদন ব্যয় বাড়ার কারণেই দাম বাড়াতে হচ্ছে। তবে প্রান্তিক গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে, তাদের জন্য আমরা মাত্র সাত শতাংশ দাম বাড়াচ্ছি।’
সর্বশেষ গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খুচরা দাম গড়ে চার টাকা থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে চার টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা