সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ::
রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে তৈরি হয় হাসপাতাল। যদি সেই হাসপাতাল এক বছর পূর্বে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে যথাযথ কর্তপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া সত্তে¡ও উদ্বোধন না হওয়ার কারণে রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে প্রসূতী মায়েদের জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে এ্যাম্বুলেন্সে ঝুঁকি নিয়ে পটুয়াখালী ও বরিশাল হাসপাতালে যেতে হয়। দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে পথিমধ্যে অনেক প্রসূতী মা মারা যায় এবং অনেক সময় সন্তান প্রসব হয়ে যায়। এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীর এ দুটি উপজেলার প্রায় আট লক্ষাধীক বাসিন্দা।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি ছিলো প্রসূতী মায়েদের চিকিৎসা সেবার জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা। শেষ পর্যন্ত পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে ৫২ শতক জায়গার উপরে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১২ টাকায় জিওবি উন্নয়ন বাজেটে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টার প্রাইজের মাধ্যমে গত ১৬ই মার্চ ২০২০ইং সালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ শুরু হয়। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়। কাজ শুরুর ১৫ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নির্মিত ভবনটির চারপাশ ঘুরে দেখা গেছে পানি ও বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পরে আছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি অতি দ্রæত উদ্বোধন হওয়ার মাধ্যমে রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেয়ে উপকৃত হতে পারে তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পটুয়াখালী আ ফ ম আরাফাত হোসেন বলেন, উক্ত হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ে লোকবলের মাধ্যমে চলতি মাসের ৩০ নভেম্বর এর ভিতরে চালু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ১৪ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতৃক উদ্বোধনের জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয়েছিলো। যেহেতু সেটা হয়নি তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি এবং আশা করছি চলতি মাসেই সাধারণ রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি চালু করা হবে।