নানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে কেটে গেল ঈদের দ্বিতীয় দিন। পবিত্র ঈদুল আযহায় এবার পাঁচ দিনের লম্বা ছুটি পেয়েছে অধিকাংশ নগরবাসী। আর এই ছুটিকে কাজে লাগাতে অধিকাংশ মানুষই ফিরে গেছেন নিজেদের শিকড়ের গ্রামের বাড়িতে।
আর এতে ঢাকার রাজপথগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। রাজধানীবাসীর কাছে এ যেন এক অন্য ঢাকা। নেই যানজট, নেই গাড়ির ধোঁয়ায় দূষিত বাতাস আর কাজের চাপ। ট্রাফিক পুলিশদেরও আর কিছুক্ষণ পরপর বাঁশিতে ফুঁ দিতে হচ্ছে না।
ঢাকার এই জীবনকে রঙিন করতে পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে বেড়িয়েছে নগরবাসী। ছেলে-মেয়েদের রঙিন সাঁজ, কোন চাপ ছাড়াই ইচ্ছে মত ঘুরে বেড়ানো ঢাকাকে দিয়েছে ভিন্ন এক রঙ।
আগে যে পথে কর্মক্ষেত্রে অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে লাগত দুই ঘণ্টা, এখন সেখানে লাগছে মাত্র বিশ মিনিট। ভিআইপি পথে রিক্সা চলায় কোনো বিঘ্ন নেই। ফলে বেড়াতে বের হওয়া নগরবাসীদের ভিন্ন স্বাদ এনে দিয়েছে এই নতুন ফাঁকা ঢাকা।
ছুটি শেষ হলে আবার ঢাকার রাস্তাগুলো গাড়ি ছায়ায় ঢাকা পরে যাবে। তাই এই ফাঁকা ঢাকার স্বাদ নিতে ব্যস্ত এখন নগরবাসী।
বিভিন্ন রাস্তায় নগরবাসীকে আরো ভিন্ন স্বাদ দিতে ঘোড়ার টমটম রাস্তায় নেমে পড়েছে। আর এতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে মানসিক শান্তি আনছেন ঢাকাবাসী।
রাজধানীর শিশুপার্ক-উদ্যানগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। ছোটদের সাথে সাথে তরুণ-তরুণী, বড়দেরও দেখা গেছে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে।
এদিকে, ঈদের প্রথম দিন অনেক দরিদ্র-নিম্নবিত্ত মানুষ মাংস সংগ্রহের জন্য ঢাকায় ছিলেন। কিন্তু, আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন তারা নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে যাওয়াতে ঢাকা ঈদের দিনের চেয়ে বেশি ফাঁকা আজ।
ঘুরতে থাকা নগরবাসীদের সরকারের প্রতি একটাই দাবি, রাজধানীর রাস্তাঘাট যেন সারা বছর এই রকম থাকে।
এদিকে ঈদের দিন যারা কোরবানি দিতে পারেননি, তারা আজ কোরবানি দিয়েছেন। এখনও গাবতলীর হাটে গরু সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। হাটে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এমএমামুন