বিসিআইসি সকল কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মজুরী কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬তম গ্রেড সংশোধন করে প্রচলিত মজুরির গুনিতক হারে বৃদ্বিসহ ৩ দফা দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ সার কারখানার সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। রবিবার সকালে কারখানার প্রধান গেইট অবরোধ করে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা।এ সময় কারখানার ভিতরে কোন কর্মচারী কর্মকর্তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি এবং ডিলারদের মাঝে ২ ঘন্টা সার সরবরাহও বন্ধ থাকে।
শ্রমিকরা কর্মচারীরা ভোর থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে কারখানার প্রধান গেইটের সামনে সমাবেত হয় এবং সকাল ৮টায় কারখানার প্রধান গেইটে তালা লাগিয়ে দেয় ।পরে কারখানা প্রধান গেইটে সকল শ্রমিক কর্মচারীরা অবস্থান নিয়ে মিটিং শুরু করে।সিবিএ‘র সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন ,সহসভাপতি আব্দুল মালেক,সাইফুদ্দিন ফারুকী,আমিনুল ইসলাম খন্দকার,আছফার উদ্দিন ও জাহিদ হোসেন সিকদার প্রমুখ।সভায় বক্ত্যরা বলেন,যাদের শ্রমে এদেশের কৃষি খাতের প্রধান উপকরন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয় সে সকল শ্রমিক মজুরী বৈষম্যের স্বীকার হয়ে অবহেলিত ও বঞ্চিত।বিসিআইসি‘র প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক উচ্চতর ট্রেনিং নিয়ে সারখানার মত ঝুকিপূর্ন কাজ করে বেতন পাচ্ছে পাটকল ও সুতাকলে মত কারখানার নিরক্ষর একজন শ্রমিকের সমপরিমান। প্রতিবারই জাতীয় বেতন স্কেলের তুলনায় মজুরী কমিশন ধাপে ধাপে কমিয়ে একজন কর্মচারী ও একজন সমপর্যায়ের শ্রমিকের মজুরীর মধ্যে বিরাট বৈষম্যের সৃষ্টি করা হয়েছে। অবিলম্বে কারখানায় শ্রমিক কর্মচারীদের সংশোধিত মজুরী কমিশন বাস্তবায়ন,গত ৪ বছরের লাভ্যাংশ প্রদান ও সকল অডিট আপত্তি নিস্পত্তির দাবী জানান।পরে আগামীকাল ২৬ wডিসেম্বর থেকে পহেলা জানুয়ারী পর্যন্ত শ্রমিক কর্মচারীদের কালোব্যাজ ধারন ও ২ জানুয়ারী আবারো প্রধান গেইট অবরোধ করার্র কর্মসুচী ঘোষনা দেন।এই সময়ের মধ্যে দাবী মেনে না নেয়া হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচী হিসাবে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হুমকি দেন।পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল কারখানা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/লিটন চৌধুরী/ব্রাহ্মণবাড়িয়া