ডেস্ক রিপোর্ট:: চিত্র নায়িকা পরীমণিকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে অমির বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হলো। অমির বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলাটি করা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দক্ষিণখান থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে।

শনিবার (১৯ জুন) দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আবদুল কাদির নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গতকাল (শুক্রবার) মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলায় অমিসহ পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিশেষ অনুমতি ছাড়া বেআইনিভাবে পাসপোর্ট রাখার দায়ে অমির দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয় দক্ষিণখান থানায়। এই মামলায় অমি ও তার দুই সহযোগীকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার অমির দুই সহযোগী হলেন- বাছির ও মশিউর মিয়া।

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া বলেছিলেন, দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তুহিন সিদ্দিকী অমির। সেই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা বাছির ও মশিউর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ঢাকা জেলা পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় বাছিরকে ও মশিউর মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছেন। মামলাটি পাসপোর্ট অ্যাক্টে করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০২টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তুহিন সিদ্দিকী অমির হলেও পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন বাছির ও মশিউর মিয়া। তাদের মধ্যে একজন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ও অন্যজন বিপণন পরিচালক।‌

কী অভিযোগে মামলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো অনুমতি ছাড়া একটি লোক বা একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এতগুলো পাসপোর্ট থাকা বেআইনি কাজ। আর সে কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আসামি অমি নিজেও। যেহেতু আমি অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার আছে, তাই এ মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here