মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থেকে ভারতে অপহৃত স্কুল ছাত্রী রেহেনুর কামাল পিয়া দীর্ঘ আট মাস পর শুক্রবার বেলা ১ টায় ভারতের গেদে ক্যাম্পের বি এস এফ চুয়াডাঙ্গার দর্শনার জয়নগর আই সি পি বিজিবি’র ও জয়নগর ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি চুয়াডাঙ্গা অপারেশন অফিসার মেজোর মাহবুব ও দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকাতা জানান ,গত
২রা মাচ মানিকগঞ্জজেলার শিবালয় শহর থেকে সোহাগ পরিবহনের ড্রাইভার মোস্তফা কালামের মেয়ে শিবালয় মাধ্যমিক বিধ্যালয়ের দশম শ্রেনণীর ছাত্রী রেহেনুমা কামাল পিয়া কে অপহরণ চক্র অপহরণ করে ।
এর পর অপহণ চক্র পিয়ার বাবা মোস্থফা কামালের কাছে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। মুক্তিপন না দিলে তার মেয়েকে মেরে ফেলবে এই হুমকিদেয়।
এদিকে মেয়েকে ফেরত পাবার আশায় পুলিশের সরানপন্ন হয় ও ৪মার্চ শিবালয় থানায় একটি অপহরন মামলা করে এ মামলায় আসামী করা হয় অপহরনের প্রধান হোতা শিবালয় বাজারের স্বর্নব্যবসায়ী গৌতম ঘোষের কর্মচারী শিপন ও গৌতম ঘোষসহ ৮জনের নামে।
অপহৃত পিয়া জানায়, অপহরণ চক্র পরে তাকে পর্যায়ে অপহণ চক্র গত ২০ এপ্রিল পিয়াকে ভারতে কৌশলে বেনাপোল দিয়ে প্রথমে ভারতের বারাসাত এর পর বারতের চাকুলিয়ায় নিয়ে কোন নারী ব্যবসায়ী দালালের কাছে বিক্রির প্রক্রিয়া চলাকালে গত ৭ জুলাই ভারতীয় গয়েন্দা পুলিশ নদীয়া জেলার হরিণঘাটা থেকে আটক করে পিয়াকে এসময় অপহণকারী শিপন পালিয়ে যায়। পরে ভারতী আইনে পিয়াকে নদীয়া জেলা সেইফ হোমে রাখা হয় ।
পিয়ার বাবা সন্ধান পাবার পর ভারতীয় আদালতে আইন অনযায়ী পিয়াকে ফেরৎ পাবার চেষ্টা করলে গত ২২ জুলাই পিয়াকে কৃষনোনগর আদালত তাকে মুক্তি দেয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/চুয়াডাঙ্গা