ইমন মোহাম্মদ হোসেন:: রাজধানী ঢাকার শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ যেমন সর্বোচ্চে তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রম আর সংগঠনের দিক বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান উল্লেখযোগ্য।

এবার গত মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) তিতুমীর কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাব নামে একটি সংগঠনের অনুমোদন দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ‘অালোকরশ্মিতে এক ঝাঁক তিতুমীর’ স্লোগানে প্রায় তিন বছর আগে তিতুমীর কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাব অনলাইনে যাত্রা শুরু করে। গোটা ক্যাম্পাসকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে এ ক্লাবটি নতুন এক জায়গা দখল করে নিয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ দিনের কলেজের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফি ক্লাবের তরুণ-তরুণীরা ক্যামেরা হাতে ক্যাম্পাসে বন্দী করতে ছুটে চলে। ফটোগ্রাফি ক্লাবের অন্যতম সদস্য শান ইসলাম বলেন, ফটোগ্রাফির প্রতি ভালবাসা থেকেই ফটোগ্রাফি ক্লাবে জয়েন করা, ক্লাব থেকে এ পর্যন্ত অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি এবং নতুন অনেক কিছুই শিখেছি।

ক্লাবের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে ক্লাবের অনুমোদন প্রাপ্তিতে আমি অনেক আনন্দিত। আশা করছি, ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস কে নতুন কিছু উপহার দিতে পারব। তিতুমীর কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা নয়ন ওয়াদুদ বলেন, তিতুমীর কলেজ ফটোগ্রাফিক ক্লাব এমন একটি সংগঠন যেখানে সবাই সবার সৃজনশীলতা কে কাজে লাগিয়ে আলোকচিত্র এবং আলোকচিত্রীর মাঝে গভীর সম্পর্কে আবব্ধ হতে পারে। আলোকচিত্র সব সময় সত্য কথা বলে, বর্তমান সময়ে দেশের তরুণদের আগ্রহের বিষয় আলোকচিত্র। এই জগতে প্রবেশ করলেও অনেকেই পাচ্ছেন না সঠিক নির্দেশনা। আলোকচিত্রী হতে আগ্রহী অনেকেই আছেন আমাদের তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে,আমরা তাদের নিয়েই কাজ করতে চাই।যারা নিজেকে একজন দক্ষ আলোকচিত্রী হিসেবে তুলে ধরতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, এই প্রজন্মের সবাই ফলো করা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু নিজের পটেনশিয়ালিটি না খুঁজে এভাবে নিজেদের নষ্ট করছে এই প্রজন্ম। তাই সততাই মূল মন্ত্র ছবি তোলার ক্ষেত্রে। এটি মিস করা যাবে না, তাই আশা করছি আমাদের ফটোগ্রাফিক ক্লাব সব সময় তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফটোগ্রাফিক কার্যক্রমে চর্চায় বেশি মনোযোগী হবে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে এই ক্লাবে পনেরো জনের মতো ফটোগ্রাফার সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন। বন্ধের পর ক্যাম্পাস খুললে নতুন উদ্যেমে কাজ করার কথাও জানান সংগঠনটির সদস্যরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here