ডেস্ক রিপোর্ট: বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ গণতান্ত্রিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাকে আজ রোববার চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। ১০ দিনের শোক কর্মসূচি শেষে আজ ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের পাহাড়ঘেরা নিজ গ্রাম কুনু’তে গ্রামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় তাকে সমাহিত করা হয়।
শেষ বারের মতো বিদায় জানাতে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন তার আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্খী, ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসসহ বিদেশি অতিথি ও দেশটির জাতীয় শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও গোত্রীয় নানা আনুষ্ঠানিকতায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে।
ম্যান্ডেলার নিজ গোত্র খোসা সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী কুনু গ্রামে শনিবার রাতভর শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা চলে। আজ স্থানীয় সময় সকাল আটটা অর্থাৎ বাংলাদেশী সময় দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার শেষ পর্ব। এরপর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয় তার পারিবারিক কবরস্থানে। এ সময় পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার ম্যান্ডেলার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয়। ৯৫ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এফএনবি স্টেডিয়ামে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশ্বের ১০০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ উপস্তিত ছিলেন। এরপর তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তিনদিন তার মরদেহ রাজধানী প্রিটোরিয়ার ইউনিয়ন বিল্ডিংয়ে রাখা হয়।
শনিবার ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) তাকে শেষবিদায় জানায়। এরপর এ মহান নেতার মরদেহ চির নিদ্রায় শায়িত করার জন্য তার নিজ গ্রাম কুনুতে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৫ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে জোহানেসবার্গের নিজ বাড়িতে জনপ্রিয় এ নেতার মৃত্যু হয়। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এ নেতা বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের জন্য ২৭ বছর কারাভোগ করেন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পান তিনি। ১৯৯৪ সালে নির্বাচনে তিনি দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও অর্জন করেন।