নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সবশেষ গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপতি। যদিও ইতোমধ্যে আলোচনার জন্য আরও ৮ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তার আগে ইসি গঠনের প্রাক-প্রস্তুতি শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি। সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে কোন প্রকৃয়ায় তা করা যাবে এখন হয়তো সে হিসাবই কষছেন রাষ্ট্রের প্রধান এই কর্তাব্যক্তি।

এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের জন্য শিগগিরই ৫ সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি দ্রুত সার্চ কমিটি গঠন করবেন। ওই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ১৮ জানুয়ারি ইসি পুনর্গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষ হবে। এই সংলাপ শেষ হওয়ার পরই দ্রুত সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ২৩টি রাজনৈতিক দল আলাদাভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসি পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করেছে। ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে সংলাপে অংশ নিতে ৮টির বেশি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের সময় বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সিইসি ও ইসি নিয়োগ করতে একটি আইন পাসের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু এবার এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর চার সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও সার্চ কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন।

ইসি গঠনে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি। প্রথম দিনই আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি।

এদিকে আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here