Keya

স্টাফ রিপোর্টার :: সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচিত হবার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিম  উল্লা ও ইজ্জত উল্লহর মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ত্যাগের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাদের স্বরণ রাখতে অচিরেই নির্মাণ করা হবে নাম ফলক। তার কবর পাকা করণসহ তার পরিবারের জন্য বসত জমি বরাদ্দ দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পানিউমদা ইউনিয়নের টেকইয়াপাড়া পাহাড়ের টিলায় বসবাসকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিম উল্লা’র পরিবারকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা  বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিম উল্লা ও ইজ্জত উল্লা’র পরিবার অতিকষ্টে জীবন ধারণ করছে। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের মাধ্যমে এ সংবাদ পেয়ে এমপি কেয়া চৌধুরী, বৃহস্পতিবার প্রথমে পানিইমদা ইউনিয়ন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান, মেম্বারসহ বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে এ দুই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগের সর্ম্পকে অবগত হন।

এমপি কেয়া চৌধুরী কথাগুলো শুনে কান্না জড়িত কন্ঠে শহীদ আজিম উল্লা’র স্ত্রী সবা বিবি বলেন, আমার স্বামীকে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগীতায় পাকরা নির্যাতন করতে করতে পানিউমদা ক্যাম্পে গুলি করে মেরে ফেলে। এর বিচার চাই। তিনি বলেন, আমাদের এ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা বসবাস করত। তাদেরকে আমার স্বামী জীবন দিয়ে সহায়তা করে গেছেন।

পরে এমপি কেয়া চৌধুরী গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামস্থ  শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিম উল্লার করব জিয়ারত করেন।

এ সময় পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মাহম্মোদ মিয়াসহ গ্রামের বিভিন্ন স্তরের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।

তারপরে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নস্থ মুড়াউড়া গ্রামে অপর এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ইজ্জত উল্লা’র পরিবাবকে দেখতে যান এমপি কেয়া চৌধুরী। এ সময় তিনি শহীদের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনেন।

এমপি কেয়া চৌধুরীকে নুরজাহান বেগম জানান, পাকরা তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। এর বিচার চাই। তিনি বলেন, আমাদের বেঁচে থাকারমত কোনো কিছু নেই বললেই চলে। এসব কথা শুনে তিনি একইভাবে তাকেও বাড়ির জমি বন্দোবস্ত দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

 

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here