আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:: ঝিনাইদহ সদর খাদ্য গুদাম থেকে সরকারী সিলযুক্ত ১০ টান চাল পাচার করা হয়েছে। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন এই চাল কোন কাগজপত্র ছাড়াই ওলিয়ার রহমান নামে এক চাল ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। এর পেছনে আরো অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত থাকতে পারে বলে র্যাব সন্দেহ করছে। তবে কেও কেও বলছেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিজেও এই অরৈতিক কাজের সাথে যুক্ত।
ঝিনাইদহ র্যাবের অধিনায়ক মোজ মনির আহম্মেদ জানান, বুধবার থেকেই তারা এমন একটি খবর শুনে নজরদারী বৃদ্ধি করেন।
তারা নিশ্চিত হন ঝিনাইদহ শহরের মেছুয়া বাজারে মধু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি চালের দোকান এই চাল রাখা আছে। সে মোতাবেক খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দৃপৃরে থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত দশ টন (২শ’ বস্তা) সরকারী চাল উদ্ধার করে র্যাব। এসময় জেলা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) জসিম উদ্দিন, মধু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রাকিব উদ্দীন ও মালিকের ভাই রাকিব উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর দুপুর ১ টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এই চাল জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির জানান, জেলা শহরের বাঘা যতিন সড়কের মধু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি চালের দোকানে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত জেলা সদর খাদ্য গুদামের সরকারী চাউল বিক্রি করা হচ্ছিল। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।
এসময় র্যাবের সহায়তায় ওই দোকানের গুদাম থেকে ২ শ’ (দুইশত) বস্তা চাউল জব্দ করা হয়। দোকানের মালিক ওলিয়ার রহমান পালিয়ে গেলেও মধু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রাকিব উদ্দীন ও মালিকের ভাই রাকিব উদ্দীন আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তী মোতাবেক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনকে আটক করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদামসহ জেলার বিভিন্ন গুদাম থেকে এভাবে শত শত টন গম ও চাল রাতের আধারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ধরাপড়ার নজীর খুবই কম। তাছাড়া রাতের আধারে ভাল চাল বের করে দিয়ে নিন্মমানের পচা চাল গুদামে ঢুকানোর অভিযোগও রয়েছে।