ডেস্ক নিউজ :: করোনাভাইরাসে হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ অন্যদিকে বাড়ছে মৃত্যুও ৷ এই ভয়ঙ্কর অবস্থার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষ এখন সাধারণ ছুটি কাটাচ্ছে। বলতেগেলে লকডাউন পুরো দেশ ৷ করোনাকে রুখতে বাড়িতে বন্দি থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ৷ কাজকর্ম ছেড়ে আচমকা এমন বন্দি জীবন কে চায়! আতঙ্কের পরিবেশে এমন অবসর হয়ে উঠতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত৷
টানা বেশ কয়েকদিনের লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে যাওয়া মানা ৷ তাই সারাদিন ট্রাভেলেরও ঝক্কি, ক্লান্তি কিছুই নেই ৷ তাই এইবার নজর দেওয়া যাক সেই কাজ গুলিতে যেগুলি বহুদিন করছি করব বলেও করা হয়নি ৷
গৃহবন্দি পরিস্থিতিতে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা সময়টা লাগিয়ে ফেলতে পারেন এমন কাজে যা বহুদিন ধরে অসম্পূর্ণ ৷ যেমন ধরুন, ড্রয়িংরুমের নতুন ক্যাবিনেটের পাশের জায়গাটা বহুদিন ধরেই সাজাবেন ভাবছেন কিন্তু তা আর করা হচ্ছে না ৷ এই সুযোগে ভেবে চিন্তে সেই শখ এবার পুরোন করে ফেলতেই পারেন ৷
অফিস বাড়ির কাজ সামলে আলমারি, বাড়ির পুরনো ট্রাঙ্কগুলোর দিকে ফিরে তাকানোই হয়নি ৷ এই কদিন এবার মনোযোগ দেওয়া যাক সেসব দিকে৷ অগোছালো জিনিসপত্রগুলো গুছানোর সঙ্গে সঙ্গে খানিক গল্প হোক পুরনো দিনের নস্ট্যালজিয়ার সঙ্গেও ৷ দেখুন হয়তো পুরনো জিনিস গোছানোর ফাঁকে ফের খুঁজে পেয়ে যেতে পারেন প্রিয় মানুষদের কোনও স্মৃতিচিহ্ন ৷
সংসার সামলে পছন্দের হবি নিয়ে সময় কাটানো আর হয় না ৷ গৃহবন্দিত্বের এই সময়ে ফিরিয়ে আনতে পারেন পুরনো অভ্যাস ৷ আলমারির মাথা থেকে ধুলো পড়ে যাওয়া গিটার, কিংবা তানপুরাটাকে নামিয়ে খানিকক্ষণের টুংটাঙ আপনার শরীর মন একদম চাঙ্গা করে দিতে পারে ৷ কিংবা গাছের টবগুলোকে পেন্ট করে হারিয়ে ফেলা শিল্পী সত্ত্বাকেও জাগিয়ে তুলতে পারেন ৷
বছর বছর বইমেলা থেকে দু’হাত বোঝাই করে আনা বইগুলো সবকটা শেষ পর্যন্ত পড়াই হয় না ৷ করোনার আক্রমণে আচমকা এই লকডাউনে বইয়ের আলমারি থেকে সেই না পড়া বইগুলো নামিয়ে আনার সুবর্ণ সময় ৷
একঘেয়েমি কাটাতে বদলে ফেলতে পারেন বেডরুম, ড্রয়িংরুমের আসবাবের অবস্থান ৷ দেখতে দেখতেই কেটে যাবে এই লকডাউনের মেয়াদ ৷