প্রত্যাক্ষান
নূসরাত ইমা
আমি প্রত্যাক্ষিত হইনি কখনো
প্রত্যাক্ষান করেছি
প্রত্যাক্ষান করার মাঝেও যে কষ্ট আছে
প্রত্যাক্ষিত কি তা জানে ?
আমি হাত বাড়াইনি কখনো
হাত সরিয়ে দিয়েছি
হাত সরিয়ে দেয়ার মাঝেও যে দুঃখ আছে
যে হাত বাড়িয়েছে সে কি তা জানে ?
আমি ভালোবাসা পেয়েছি
গ্রহন করতে পারিনি কখনো
ভালোবাস ফিরিয়ে দেয়ার মাঝে যে শূন্যতা আছে
যাকে ফেরালাম সে কি তা জানে ?
আমি ডুবে যাইনি কখনো
সাবধানে পেরিয়ে গেছি
ডুবতে না পারার মাঝেও যে ব্যাথা আছে
যে ডুবলো সে কি তা বোঝে ?
নূসরাত ইমা
সব মানুষেরই একটা লুকানো কষ্ট আছে
এমন একটা কষ্ট,
যেটা কখনোই তাকে ছেড়ে যায় না
ঐ কষ্টটা হুট করে মনে উকি দেয়
অনেক মানুষের মাঝেও একজনকে একা করে দেয়
অনেক আনন্দের মাঝেও অল্প একটু মন খারাপ হয়
চরম ব্যস্ততার মাঝেও হঠাৎ মনে পড়ে যায়,
ছোট্ট একটা দীর্ঘস্বাস হয়ে
সবাই খুব সুখি
আবার কেউই পুরোপুরি সুখি নয়
হঠাৎ কোন বৃষ্টির রাতে কষ্টটা অশ্রু হয়ে ফিরে আসে
একটা অলস ক্লান্ত দুপুরে,
হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে এলে,
কষ্টটা মেঘের সাথে মিলেমিশে আসে
নিঃসঙ্গ কোন একটা বিকেলে,
একলা কফির মগে কষ্টটা ভেসে ওঠে
এমন একটা কষ্ট যা কাউকে বলা হয়না
এমন একটা কষ্ট যা কাউকে বলা যায় না
সব মানুষেরই একটা লুকানো কষ্ট আছে।
নূসরাত ইমা
মাঝে মাঝেই চোখ বন্ধ করলে দমকা হাওয়ার মতো
এক জোড়া গভীর কালো চোখ সামনে ভেসে ওঠে
সময়ের সাথে সাথে তা মিলিয়েও যায়
তারপর আবার সেই গভীর কালো চোখ জোড়া
হাজির হয় তার মালিক সমেত
কিছুতেই সরে যায় না
সুদর্শন গভীর কালো একজোড়া চোখ।
কিছু বলতে চায় কিন্তু দৃষ্টি বিনিময় ছাড়া কিছুই হয় না
ঘটনার পুনরাবৃত্তি কতবার হয়?
কাকতালীয়?
তার তো সীমা থাকে?
তবে কি ইচ্ছাকৃত?
না না তা কি করে হয়?
একবার,দুবার, বার বার…।
কেন?
কার্যকারণ সূত্র মেলেনা এখানে
একসময় সময় শেষ হয়।
চোখ খুলে সেই গভীর কালো চোখ আর দেখা হয় না
চোখ বন্ধ করলে সামনে এসে দাঁড়ায়
স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে এ এক অদ্ভুত অনুভূতি
বুকে কাঁপন তুলে সরে যায়
কিন্তু ধরা দেয় না
সে যে ধরা দেবার নয়