স্টাফ রিপোর্টার :: যাকাতের সুষ্ঠ ব্যবহারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকাত প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করে ঢাকায় দু’দিনব্যাপী আয়োজিত যাকাত ফেয়ার ২০১৮ শেষ হয়েছে।
আজ শনিবার শেষদিনে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক সচিব আরস্ত খান বলেন, যাকাত, ওয়াকফ ও সাদাকা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে। তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচনরে জন্য বিদেশী সাহায্যের দিকে না তাকিয়ে অভ্যন্তরীন সম্পদ বিশেষ করে যাকাত ও ওয়াকফ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।
বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, যাকাত হচ্ছে একটি বাধ্যতামুলক ইবাদাত। তিনি বলেন, যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সম্পদের বৈষম্য দুরীকরন ও মানব উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে পারে।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট উদ্যোগে আয়োজিত এ যাকাত ফেয়ারের সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘দারিদ্রবিমোচনে যাকাত ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক এপ্রোচ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি আবদুর রউফ।
সিজেডএম এর চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সাবেব এনবিআর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সাবেক সচিব ড. সৈয়দ নকীব মুসলমি, মেজর জেনারেল সালাহউদ্দিন মিয়াজী, সিজেডএম এর সিইও ড. মোহাম্মদ আইযুব মিয়া সহ প্রমুখ।
সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে যাকাতকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে যাকাত ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ‘যাকাত ফেয়ার ডিক্লারেশন’ ঘোষনা করা হয়।
সকালে ‘যাকাত তহবিলের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার দৃষ্টান্ত: যাকাত প্রাপ্তদের অভিজ্ঞতা বর্ননা” শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সিজেডএম এর সিইও ড. মোহাম্মদ আইযুব মিয়া, ম্যনেজমেন্ট কনসালটেন্ট আবদুল কাইয়ুম সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে যাকাতের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন এরকম অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
‘মেকিং আ ডিফারেন্স উইথ যাকাত’ – এই স্লোগান নিয়ে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এ ফেয়ারে বহু লোকের সমাগম হয়। ২ দিনে অনুষ্ঠিত ৪টি সেমিনারে বিভিন্নস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।