dhakaষ্টাফ রিপোর্টার :: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মোট মেয়র প্রার্থীর ৭২ ভাগ ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়ী প্রার্থী দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের। তবে শতকরা হারে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার প্রায় ৪ ভাগ বেশি।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এক গবেষণা তুলে ধরে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের করায়ত্ত হচ্ছে আমাদের রাজনীতি। ব্যবসায়ীদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার অবশ্যই আছে। কিন্তু সব প্রার্থীই যদি ব্যবসায়ী হয়, তাহলে জনগণের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে না।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশের ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে ঘিরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পৌরসভা নির্বাচনে ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৬৫২ জনই ব্যবসায়ী, যা শতকরা হিসেবে ৭২ দশমিক ১২ ভাগ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২২১ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৬৫ জন (৭৪.৬৬%), বিএনপির ২০৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৬২ জন (৭৮.৬৪%) এবং অন্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৪৭৭ প্রার্থীর মধ্যে ৩১৫ জন (৬৮.১৩%) ব্যবসায়ী। তবে মোট প্রার্থীর মধ্যে ৩১ জনের পেশাগত তথ্য উল্লেখ নেই তাদের হলফনামায়।

ঋণগ্রহীতা দেশের ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়া ৯০৪ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ঋণগ্রহীতা ১৬.১৫ ভাগ অর্থাৎ ১৪৬ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন (২২.৭৪%), বিএনপির ৪২ (২০.৩৮%) এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৫৬ জন (৫৬.৮৮%)।

ঋণগ্রহীতার হার বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের বেশি হলেও কোটি টাকার ওপর ঋণগ্রহীতা বিএনপিতেই বেশি।
মোট ১৪৬ জন ঋণগ্রহীতার মধ্যে কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন ১৮ জন (১২.৩২%)। যার মধ্যে আওয়ামী লীগের ৫ জন, বিএনপির ৭ জন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৬ জন।
করদাতা : সুজনের গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রার্থীদের অধিকাংশই করদাতা। সব দলের মধ্যে করতাদার হারও কাছাকাছি। ৯০৪ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে কর প্রদানকারী ৭২৯ জন (৮০.৬৪%)। আওয়ামী লীগের ১৮১, বিএনপির ১৬৯ এবং স্বতন্ত্র ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ৩৭৯ জন।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুজন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজন নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here