ঢাকা: জয়াবর্ধনে ক্যারিয়ারে সপ্তম দ্বিশতকের দেখা পেলেন মিরপুর টেস্টে। আর এই দ্বিশতকের ওপর ভর করে বিশাল লিডে পৌঁছে দিল লংকানদের।
বাংলাদেশি বোলার নাসির হোসেনকে মিড উইকেট দিয়ে সীমানা ছাড়া করে এই অর্জনে পৌঁছান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ছয় উইকেটে ৭৩০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। আর এটাই তাদের তকমা দিল টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহকারী দল।

জয়াবর্ধনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৭৯ রানের জুটি গড়ার পথে কিথুরুয়ান ভিথানেজও শতক করেছেন।

এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খেছে বাংলাদেশ। ১১  রানে হেরাথ এর শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন তামিম। ৬ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭ মারশাল আইয়ুব ২ রানে শামসুর রহমানকে সাথে নিয়ে খেলছেন।

এর আগে তৃতীয় দিন মধ্যাহ্নবিরতি পেরিয়ে দ্বিতীয় সেশনে  মাহেলা জয়াবর্ধনে ও অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দেড়শতাধিক রানের জুটি ভেঙে দেন গাজী। ম্যাথুসকে শর্ট মিড অনে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন গাজী।  সেই সাথে শতক থেকে বঞ্চিত হন এই অধিনায়ক।

এই জুটিতে তিনশ রানের লিড নেয় শ্রীলঙ্কা। ১৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা। আগের দিন সুরাঙ্গা লাকমলকে ফিরিয়ে হাসিমুখে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। নতুন সকালে ভালো কিছুরই আভাস ছিল তাদের চোখে। কিন্তু ৪২ রানে অপরাজিত খেলতে নামা জয়াবর্ধনে দ্বিতীয় সেশনে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের ৩৩তম শতক।

বুধবারই মাঠে নেমে ম্যাথুস পান ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ৮৬ রানে আউট হন তিনি।

২০০৮ সালে এই শেরে বাংলা নগর স্টেডিয়ামে নিজের ক্যারিয়ারে টাইগারদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেছিলেন জয়াবর্ধনে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান এদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই সেরা পারফরমেন্সকে ছেড়ে গেলেন। ‍২৭১ বলে ১৬ চার ও চার ছয়ে ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপর প্রান্তে ১০৩ রানে খেলছিলেন ভিথানেজ।

সফরকারীদের আরও দুটি ফিফটি ও একটি শতক হাঁকিয়েছেন টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। কৌশল সিলভা আগের দিন ১৩৯ রানে আউট হন। এছাড়া দিমুথ করুনারত্নে ৫৩ ও কুমার সাঙ্গাকারা করেন ৭৫ রান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here