কুড়িগ্রাম থেকে, সৌরভ কুমার ঘোষ: শিক্ষিত ছেলে কর্ম নেই বেকার। চলতে হবে তো। চাকুরীর জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ভাইপায় বাতিল। বয়স তো আর তা মানছে না। বিয়ে তো করতেই হবে। এমনই বেকার যুবক ছেলেদের মেয়ে দেখার আগে ছেলে (বর) পক্ষের প্রস্তাব লক্ষ টাকা ভাঙ্গাবে না।

তবুও ঘটকের দৌড়ঝাঁপ শিক্ষিত ছেলে সমস্যা কি? সরকারী আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কুড়িগ্রামের ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারদের ইচ্ছে মত চলছে অহরহ বাল্যবিয়ে। সরকার নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর নিয়ম থাকলেও ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারদের ধুমছে ১৪/১৫ বছরের মেয়েদের অহরহ বিয়ে রেজিষ্ট্রি করছে।

এব্যাপারে একাধিক ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, মেয়ে দেখার সময় আমাদের নেই, দেখব জন্ম নিবন্ধন। বয়স কম হলে সমস্যা কোথায় জন্ম নিবন্ধন তো আছে। ৪০-৫০ টাকা সংশ্লিষ্ট ইউপি পরিষদ তথ্য সেবায় ধরে দিলেই তো বয়স বাড়ানো যায়। প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় বাল্য বিয়ে কার্যক্রম চলছে অহরহ।

দেশের জেলা উপজেলায় বাল্য বিয়ে জড়িতদের জেল জরিমানা হলেও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে কোনো কার্যক্রম, চোখে পড়ছে না। আর এ কারণেই অহরহ বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, বাল্য বিয়ে মূলত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ দায়ী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here