চট্টগাম : বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় আগামী ৩০ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে।

সোমবার দিনভর আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন।

২০০৪ সালের ২ এপ্রিল ভোরে চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র খালাসের ঘটনায় দায়ের হওয়া চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির রায় প্রদানের তারিখ ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সব আসামির পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে কাঠগড়ায় উপস্থিত ১১ আসামির মধ্যে আট জনের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন তাদের পক্ষের আইনজীবীরা। এছাড়া অন্য আসামি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, এনএসআই‘র সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) আবদুর রহিম ও সিইউএফএলের সাবেক এমডি এনামুল হকের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় প্রার্থনা করা হলে আদালত আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেন। যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আর আলাদাভাবে সময় দেওয়া হবে না বলে আদালত জানান।

এর আগে গত রোববার যুক্তি উপস্থাপন শেষে সব আসামি সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মহানগর পিপি এডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমদ।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কফিল উদ্দিন আহমদ জানান, অধিকতর তদন্তের নামে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে সেটা পুরোটাই প্রহসন। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমুলকভাবে সম্মানিত ব্যক্তিদের এই মামলায় আসামি করেছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আদালত এই মামলা থেকে আসামিদের বেকসুর খালাস দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার অন্যতম আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীসহ ১১ জনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল ভোরে সিইউএফএল জেটিঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আটক করা হয়। স্মরণকালের বৃহত্তম এই অস্ত্রের চালান নিয়ে কর্ণফুলী থানার সাবেক ওসি আহাদুর রহমান বাদি হয়ে চোরাচালান ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে টানা সাড়ে ৩ বছর তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১১ সালের ২৬ জুন এই মামলার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে আদালতে। সে বছর ১৫ নভেম্বর দুটি মামলায় চার্জ গঠনের পর একই বছর ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অস্ত্র আটক ও চোরাচালান মামলায় ৫০ জন করে ১শ জনকে আসামি করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here