ষ্টাফ রিপোর্টার :: লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকারিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদী ছাত্র শিক্ষক ও নাগরিকদের ব্যানার থেকে এ দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে এ হামলার জন্য মৌলবাদী শক্তির তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততাকে দায়ী করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ হামলা মুক্তচিন্তার ওপর বড় আঘাত। এ আঘাত মোকাবিলায় মুক্তচিন্তার সব মানুষকে সংগঠিতভাবে মাঠে নামতে হবে।সমাবেশে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেন, “যুদ্ধাপরাধী ও মৌলবাদী শক্তির বিচার অসমাপ্ত রাখায় দেশে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ দুই-তিন স্তরের নিরাপত্তার কথা বলে। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা কোন স্তরে থাকে, তারা তা জানে না। ”
সাংবাদিক, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “দেশ প্রগতিশীল চিন্তার বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।”মানবাধিকার নেত্রী হামিদা হোসেন বলেন, “অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের অনেক কাছেই পুলিশ ছিল। এত কাছে থেকে তারা কী করছিল, সে প্রশ্ন আমাদের করতে হবে।”
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী বলেন, “দেশে হত্যার রাজনীতির মধ্য দিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে চায় আর কেউ ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু হত্যাকারীর বিচার কেউ করে না। রাজনীতির এই হত্যার খেলার বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত হতে হবে।”
ব্লগার ও লেখক পারভেজ আলম বলেন, “এই পুলিশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের শাহবাগে দাঁড়াতে দেয় না। ছবির হাট উঠিয়ে দেয়। নানা অভিযোগে ব্লগারদের গ্রেফতার করে। কিন্তু মুক্তচিন্তার ওপর হামলাকারী খুনিদের ধরতে পারে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরতে না পারলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।”
আপরদিকে অভিজিতের হত্যাকারী ও তার স্ত্রীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। অপরাজেয় বাংলার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।