ডেস্ক নিউজ :: গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ কয়েক কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতির কারণ হয়েছে। এ যুদ্ধের কারণে গত ২০ বছরে ৮টি দেশে কমপক্ষে ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ‘কস্ট অব ওয়্যার প্রজেক্ট’-এর আওতায় ৩০ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে তা প্রকাশ করেছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাকেন্দ্র পেন্টাগন আর টুইন টাওয়ারে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলার অজুহাতে তখনকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ শুরু করেন অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ। নিরন্তর সেই যুদ্ধ আফগানিস্তান থেকে ইরাক, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ফিলিপাইন, লিবিয়া ও সিরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ক্রিয়েটিং রিফিউজিস :ডিসপ্লেসমেন্ট কজড বাই দ্য ইউনাইটেড স্টেটস পোস্ট ৯/১১ ওয়্যারস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের কবলে থাকা ৮টি দেশকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ফিলিপাইন, লিবিয়া ও সিরিয়া। প্রতিবেদনটির প্রধান গবেষক ওয়াশিংটনের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড ভাইন নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, এই দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে এনেছে, ভয়াবহরকম ধ্বংসাত্মক হয়েছে।